ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের চারপাশে বছরজুড়ে ঘুরবে ; অক্ষত ৯৫ শতাংশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৫:২২,অপরাহ্ন ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭২ বার পঠিত
ছবি পাওয়া গেলে ল্যান্ডার বিক্রম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে নাকি সংযোগ-ছিন্ন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তা পরিস্কার হবে। ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান যদি নষ্ট হয়ে থাকে, তাতে চন্দ্রযান-দুইয়ের মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। ভারতের এই চন্দ্রযান-২ মিশনের জন্য ৯৭৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। চন্দ্রযান-দুই মহাকাশযানের তিনটি অংশ। প্রথমটি অরবিটার (ওজন ২,৩৭৯ কেজি, আটটি পেলোডস), দ্বিতীয়টি ল্যান্ডার বিক্রম (১,৪৭১ কেজি, চারটি পেলোডস) এবং সর্বশেষ অংশ রোভার প্রজ্ঞান, যার ওজন ২৭ কেজি।
এদিকে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশ তাদের জন্য গর্বিত। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকা অবস্থায় চন্দ্রায়ণ-২ এর ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও মোদী বিজ্ঞানীদের বলেন, জীবনে ওঠাপড়া থাকে। এটা কম কৃতিত্ব নয়। শনিবার সকালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, দেশ তাদের জন্য গর্বিত। সারা ভারত রাতভর ঘুমায়নি। গোটা দেশ আপনাদের প্রতি সহানুভুতি দেখিয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় বিক্রম। ভারতীয় সময় শনিবার ভোররাত ১.৪০ মিনিট থেকে ১.৫৫ মিনিটের মধ্যে চাঁদের মাটিতে পা রাখার কথা ছিল ল্যান্ডারের। কিন্তু সেটি আদৌ অবতরণ করতে পেরেছে কি না, সে সম্পর্কিত কোনও তথ্য ইসরোর কাছে আর এসে পৌঁছোয়নি। কারণ, অবতরণের আগের মুহূর্তে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার উঁচুতে থাকা অবস্থায় সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় বিক্রম। চন্দ্রযান-২ চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ভারতের ভারী লিফট রকেট ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি চড়ে। কয়েক ধাপে পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে বেরিয়ে, সেটি প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে। শনিবার ভোররাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল ল্যান্ডারের। তার পর ভোর ৬টা নাগাদ সেই ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসত রোভার প্রজ্ঞান। ১৫ দিন চাঁদের মাটিতে থেকে চাঁদের জলবায়ু-সহ একাধিক তথ্য তার পাঠানোর কথা ছিল শ্রীহরিকটোয়, ইসরোর গবেষণাগারে।
ভারতের চন্দ্রযান-২ গত ৪৩ দিন ধরে মহাকাশে রয়েছে। ৩.৮ টন ওজনের যানবাহনটি বর্তমানে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে বলে এখনো বিশ্বার করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।