শিবির-জামাতের সাবেক ক্যাডার মমদুদ হোসেন কুলাউড়ায় উপজেলা আ.লীগের সাংগটনিক সম্পাদক প্রার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০০:৪২,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪১২০ বার পঠিত
কুুলাউড়া প্রতিনিধি : সুদীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের স্বপ্নের সম্মেলন ও কাউন্সিল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ই নভেস্বর অনুষ্টিত হবে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের কাঙ্কিত কাউন্সিল। আর এজন্য দলীয় নেতা কর্মীদের পদ-পদবী প্রাপ্তির প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে ব্যাপক দৌড়ঝাপ। উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চলছে পদ প্রত্যাশিদের নিরন্তর লবিং কার্যক্রম।
কুলাউড়াা উপজেলা আওয়ামিলীগের বিভিন্ন সূত্রমতে, দীর্ঘ সময়ে ক্ষমতার মোহে সারা দেশের ন্যায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগেও অনেক অনুপ্রবেশ কারীদের আগমন ঘটেছে। এদের মধ্যে বিএনপি জামাতের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের অনেকে আওয়ামিলীগে যোগদান করে দলের উপজেলা সম্পাদকের মনোনয়ন বাণিজ্যের সুবাদে নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং আওয়ামিলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিকও হয়েছেন পাশাপাশি দলকেও করেছেন কলঙ্কিত।
আগামী ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের অনুষ্টিতব্য কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক কিংবা সাংগটনিক সম্পাদক পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবীদার হিসেবে সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় সৃষ্টিকারীদের অন্যতম এক আওয়ামিলীগ নেতা হলেন ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসেন। যাকে উপজেলা আওয়ামিলীগ অফিসে প্রায়শই দলের সাধারণ সম্পাদকের পাশের চেয়ারে আসীন দেখা যায়। তা ছাড়া জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি নেছার আহমদ নাকি মমদুদের মামা ও সম্পাদক মিসবাউর রহমান খালাত ভাই তাই সাংগটনিক সম্পাদকের পদ তার অনেকটাই নিশ্চিত বলে শুনা যাচ্ছে।
কুলাউড়া ও ব্রাহ্মনবাজারের আওয়ামিলীগ, বিএনপি ও জামাতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, মমদুদ হোসেন তার চাচা লেচু মিয়ার মাধ্যমে ২০০৫সালে অত্যন্ত সুকৌশলে জামাত হতে আওয়ামিলীগে যোগদান করেন। ১৯৮০ সাল হতে ১৯৯৮সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন তুখোড় ক্যাডার ও ছাত্রনেতা হিসেবে কুলাউড়া ও মৌলভীবাজারের সর্বমহলে পরিচিত ছিলেন মমদুদ। বিশেষ করে সে সময় ব্রাহ্মনবাজারে শিবির নেতা মমদুদ ছিল এক মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। ১৯৯৮ সাল হতে ২০০৫সাল পর্যন্ত তিনি জামাত ইসলামীর রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় নেতা ছিলেন।
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র শিবিরের ইফতেখার-মিটু পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মমদুদ হোসেনের সময়কালীন শিবিরের রাজনৈতিক সহকর্মীগণ হলেন, সিলেট মহানগর জামাতেরশীর্ষ নেতা শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ, কুলাউড়া উপজেলা জামাতের নেতা ইফতেখার আহমদ, রাউৎগাও ইউনিয়ন চৌধুরী বাজারের কারী আব্দুস ছাত্তার ( কালা মুল্লা), ব্রাহ্মনবাজার গাজীপুরের কারী আব্দুল গফুর, মির্জাপুরের আবুল কালাম বিপুল ও আলাউদ্দিন, গবিন্দপুরের কারী ছৈদুর রহমান, নাছনী এলাকার ফয়েজ আহমদ(সুরমা ব্রিক্স এর স্বত্বাধীকারী),হারুনুর রশিদ ও আব্দুল খালিক, ব্রাহ্মনবাজার এলাকার আব্দুল মালিক, নওয়াগাও এলাকার দিলদার হোসেন ও আলাউদ্দিন,রাজাপুরের জাকির হোসেন( মমদুদের চাচাতো ভাই), শেরপুরের জাকির হোসেন, কুলাউড়া শহরে বনফুলের স্বত্বাধিকারী নোমান আহমদ, হিঙ্গাজিয়ার আবুল কালাম,ফয়সল আহমদ, আব্দুল আহাদ ও মাহবুব ফেরদৌসী ও লামাপাড়ার আবু সুফিয়ান,ভাটেরার মিছবাউর রহমান(ঘিলা ছড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক),শ্রীপুরের আব্দুল লতিফ(আব্দুল মছব্বিরের ছেলে) সহ আরো অনেকে।
ব্রাহ্মনবাজারের আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান নেতার দেয়া তথ্য হতে জানা যায়, ১৯৯২ সালে শিবির নেতা মমদুদ হোসেনের নেতৃত্বে ব্রাহ্মন বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অগ্নি সংযোগ, ১৯৯৩ সালে ব্রাহ্মনবাজারস্থ মীর ইসলামী সমাজ কল্যান সংস্থার আয়োজনে মৌলানা বাকিবিল্লাহর ওয়াজ মাহফিলে হামলা , ১৯৯৪ সালে ব্রাহ্মণবাজারস্থ মৌলানা আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ী হতে তালামিয কর্মীকে ধরে শিবিরের সদস্য বানাতে চাইলে রাজী না হওয়ায় প্রচুর মারপিট, একই বছর লোয়াইাইন বাগানের ম্যানেজারের শ্যালক ছাত্রলীগ কর্মী প্রিন্সকে ধরে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিবিরের সদস্য ফরমে স্বাক্ষর করানো, ১৯৮৫ সালে জালালাবাদ স্কুলের সামনে ছাত্রলীগ কর্মী আতাউর রহমানের উপর(বর্তমান ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের প্রভাষক) হামলা করা হয়।
১৯৯৩ সালে ব্রাহ্মনবাজারে মকুমিয়ার দোকানে শিবির জামাতের সিলেটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে মমদুদ হোসেনের উপস্থাপনায় এবং প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে শিবিরের সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে সভা অনুষ্টিত হয়। মূলত এই অনুষ্টানই ব্রাহ্মণবাজারে শিবিরের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ১৯৯৬ সালে জামাতের তৎকালীন সিলেট জেলা আমীর (বর্তমান জামাতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল) ডাঃ শফিকুর রহমানকে প্রধান অতিথি করে সিলেট, মৌলভীবাজারের শীর্ষ জামাত নেতাদের নিয়ে রাজাপুর নিজ বাড়ীতে বিশাল সভা করেন মমদুদ। ২০০১ সালে শিবির নেতা মমদুদ ও তার ছোট ভাই তৎকালীন ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মসুদের নেতৃতে ব্রাহ্মনবাজারের ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের বিশাল একটি গ্রæপ সুশীল সমাজের ভেনারে বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এম.শাহীনের নির্বাচনী প্রচারনায় নামলে নির্বাচনী সভা মমদুদের পরিচালনায় রাজাপুরস্থ তাদের নিজ বাড়ীতে অনুষ্টিত হয়।
ব্রাহ্মনবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দেয়া তথ্যমতে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালে হিঙ্গাজিয়া বাগানে ছাত্রশিবিরের দু’জন ক্যাডার বোমা তৈরী করা কালে ক্যামিক্যাল বিষ্পোরণে মারাত্বক আহত হন। এ বিষয়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বিষয়টি তদন্তে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন পরিষদে জনসাধারণের সাথে আ্ইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় কালে মমদুদ হোসেন শিবির ক্যাডারদের পক্ষাবলম্বন করে পুলিশ সুপারের সামনে বক্তব্যে বলেন, “বোমা তৈরীকারীদের দ‘ুজন সন্ত্রাসি নয় ওরা কৌতুহল বশত বোমা তৈরীর চেষ্টা করতে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে।” শুধু তাই নয় ,বিগত সময়ে সরকার বিরোধী সহিংস আন্দোলনে গাড়ী পুড়ানু ও রেল তুলার মতো অপকর্মে জড়িত ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন এলাকার জামাত বিএনপির বেশির ভাগ নেতা কর্মীদের তিনি আওয়ামিলীগ দলীয় ক্ষমতার বলে রক্ষা করেছেন। উদাহরণ হিসেবে শ্রীপুরের শিবিরের সাবেক নেতা আব্দুল লতিফকে রেল উত্তোলন মামলা হতে তিনিই তদবিরের বলে রক্ষা করেছেন। ওই লতিফ আওয়ামিলীগে যোগদান না করেই তার মাধ্যমে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী। ব্রাহ্মন বাজারের ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা সিদ্দিককে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনিই তদবিরের বলে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন জামাত নেতা ও সাবেক শিবির নেতা ব্রাহ্মনবাজারের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেনের শিবির ও জামাতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বলেন,‘ সে আমাদের দলের অত্যন্ত সক্রিয় একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিল। আওয়ামিলীগে যোগদান করলেও বিগত সময়ে আমাদের চরম দুঃসময়ে তাঁর অনেক সহযোগিতা পেয়েছি, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁর চেয়ারম্যান নির্বাচনেও আমরা সাথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনেও আমাদের দলীয় প্রার্থী না থাকলে তাকেই সমর্থন দিয়ে যাব।’
ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা রফিক আহমদ বলেন, “ব্রাহ্মনবাজারের বর্তমান চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি ছিল। বলা চলে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নে তারই নেতৃত্বে শিবিরে সর্বোচ্চ উত্থান ঘটেছ। তাছাড়া তার আওয়ামিলীগে যোগদানের মধ্যদিয়ে এলাকায় সে জামাত শিবিরের দুর্দিনের কান্ডারী ও ত্রান কর্তা হিসেবে অধিষ্টিত হয়েছে। আওয়ামিলীগের নামে তার সাথে সম্পৃক্তদের বেশীর ভাগই জামাত ঘেষা কিংবা এখনো জামাত সক্রীয়।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের গ্যাজেটভুক্ত জনৈক মুক্তিযুদ্ধা বলেন, “শিবির ক্যাডার মমদুদ কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের শীর্ষ পর্যায়ের দু‘একজন নেতার মদদে আজ আওয়ামিলীগ পরিচয়ধারী এবং নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তাকে যদি উপজেলা আওয়ামিলীগে পদ-পদবী প্রদান করা হয় তবে তা কুলাউড়া আওয়ামিলীগের জন্য কলংকজনক ও দুঃখজনক অধ্যায় রচিত হবে।”
ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ এর একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারী সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, “মমদুদ হোসেন আওয়ামিলীগের কোন অঙ্গসংগটনের সাথে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেননা। ২০০৫ সালে আওয়ামিলীগ নেতা লেচু মিয়ার মাধ্যমে তিনি আওয়ামিলীগে যোগদান করেন। একমাত্র সিরাজুল হোসেন ফজা মিয়া ব্যাতিত বংশপরম্পরায় তাদের গুষ্টির সকলেই ছিলেন আওয়ামিলীগের বিরোধি মানসিকতার যা এখনো অব্যাহত আছে। তার আপন ভাই মসুদ ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও ছোট ভাই মাহফুজ ইউনিয়ন জামাতের সক্রিয় নেতা। ”
ব্রাহ্মনবাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন সেলিম বলেন, “চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন শিবির জামাতের অন্যতম ক্যাডার ও নেতা ছিলেন তা ব্রাহ্মনবাজারে সর্বজন বিদিত। শুধু তাই নয় তাদের গোষ্টিতে একমাত্র তার চাচা ফজা মিয়া মেম্বার ছাড়া সবাই এখনো জামাত বিএনপির রাজনীতি সম্পৃক্ত। মমদুদ চেয়ারম্যানের একান্ত যেকোন বিষয় তার পুরোনো দল জামাতের নেতা-কর্মীদের সাথে শেয়ার করেই সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকেন। আর ইউনিয়নে আওয়ামিলীগ ও তালামিযের নেতা কর্মীরা তার দ্বারাই বেশী নির্যাতিত।”
ব্রাহ্মন বাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মকবুল আলী বলেন, “ব্রাহ্মনবাজারের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন আমাদের জ্ঞাতসারে একজর দুর্ধর্ষ শিবিরি ক্যাডার ছিলো। সে আওয়ামিলীগে যোগদিয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার পর হতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগের নিরিহ ও নিবেদিতপ্রান নেতা কর্মীদের জামাত-শিবিরের তকমা জুড়িয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আর তার পুরাতন দল জামাত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান করে। সে আমার ছেলেকে (ইউনিয়ন তালামিযের দপ্তর সম্পাদক) শিবির করে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিল।”
ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রাধেশ্যাম কানু বলেন, “মমদুদের দাদা ছিলেন দেশের শীর্ষ রাজাকার বাংলাদেশ মুসলীমলীগের সাবেক সভাপতি ইউছুফ মুক্তারের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর। আর এই সম্পর্কের কারনেই ইউছুফ গণি কলেজে তার চাকুরি হয়। তার বংশের লোকজন বংশ পরম্পরায় মুসলিমলীগ,জামাত ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৯৮৮সালের দিকে সে খালিক মিয়ার মার্কেটে (বর্তমান মঞ্চব মিয়ার মার্কেট) অফিস খুলে শিবিরের নিয়মিত মিটিং সমাবেশ করত। তাছাড়া আমার জানামতে সে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রশিবিরের সহ-সাধারন সম্পাদক ছিল। সে চেয়ারম্যান হওয়ার আমরা ব্রাহ্মনবাজার এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চরমভাবে নির্যাতিত।”
লোয়াইউনি বাগানের পঞ্চায়েত নেতা অজিত কৈরি বলেন, “মমদুদ হোসেন হলো রাজাকারের উত্তরসূরী। শুধু মুজিবকোট পরলেই আওয়ামিলীগ হওয়া যায়না সে জামাত শিবিরের লোক ছাড়া অন্য কাউকেই পাত্তা দেয়না। সে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিয়েছে এবং তার কারণে আমি জেল কেটেছি। মুুসলমানের কোরবানীর গরু মাটি চাপা দিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ লাগিয়ে দিয়েছিল সে।”