“ইহা নিঃসন্দেহে আমার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার”- আব্দুল আহাদ
ঊষারবাণী নিউজ ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার গাজীরপুর রেঞ্জের বরমচাল বিট সংলগ্ন ইছলাছড়া বিজ্রিং এলাকায় সরকারী খাসভূমি বনাঞ্চলের খাসভূমি থেকে নিয়মিত বৃক্ষ নিধন করে আসছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র মর্মে বিভিন্ন শিরোনামে স্থানীয় কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের ফলে ২১ জানুয়ারী কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর নির্দেশ দিয়েছেন বন বিভাগকে । পরির্দশনকালে রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক , সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন, বরমচাল বিট কর্মকর্তা আহমদ আলী, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দেব উপস্থিত ছিলেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি রির্জাব ফরেষ্ট এর অদূরে গোচারণ ভূমির ইছলাছড়ার মৌজার দখলকৃত ১নং খতিয়ানের খাস ভূমি থেকে ৩দফা অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু কাঠ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরমচাল বিট কর্মকর্তা আহমদ আলী বাদী হয়ে বন আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন, মামলা নং ০৪ বরম/২০১৯-২০।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বরমচালে গাছ পাচারের স্পটটি সরকারি রির্জাব ফরেষ্টেএর ভিতরে নয়, তবে কাছাকাছি। খাস ভূমি থেকে ১৩০টি গাছ কর্তন করতে অনেক সময় লেগেছে। আমি এ খবর ভিন্ন মাধ্যমে পেয়েছি। তাই দায়িত্বে গাফলতির জন্য সংশ্লিদের সকোজ করা হয় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে নিজের নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ও বনবিট কর্মকর্তা কর্তৃক মামলার আসামী করায় এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, একটি কুচক্রী মহল তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন মানসে তার বিরুদ্বে এরকম পুর্ব পরিকল্পিত অপপ্রচার চালিয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বনোয়াটন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তিনি বরমচাল বনবিট সংলগ্ন ইছলাছড়া বিজ্রিং এলাকায় গাছ ক্রয়-বিক্রয় বা কর্তন সংক্রান্ত ঘটনায় তিনি মোটেও জড়িত নয় এবং এটি তার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে তিনি জানান।
আব্দুল আহাদ বলেন, “ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের চকেরগ্রামের লিয়াকত আলী ২০/২৫বছর আগে ইছলাছড়া মৌজার গোচর ল্যান্ডের সরকারী ভূমি দখলকরে বাড়ী নির্মান ও গাছ লাগিয়ে ক্রয় বিক্রয় করে যাচ্ছেন বিগত কয়েক বছর ধরে। ইউএনও কর্তৃক জব্দকৃত গাছগুলি ঐ লিয়াকত আলীর লাগানো যা তিনি বরমচাল ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামের হাসমত আলীর কাছে বিক্রয় করেছেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল আমার নাম ভাঙ্গিয়ে অপপ্রচা চালিয়ে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করে আমাকে আসামী করতে বনবিট কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু এরকম জঘন্য ঘটনায় আমার কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।”