কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজরের কুলাউড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ অমান্য করে বিয়ের পীঁড়িতে বসায় দুবাই ও ওমান ফেরত দুই প্রবাসী কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যামান আদালত। ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যামান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ছকাপন গ্রামের বাসিন্দা হাজী আনসার আলীর ছেলে রিয়াদ উদ্দিন দুবাই থেকে দেশে ০৬ মার্চ ফিরেন। খবর পেয়ে তাকে উপজেলা প্রশাসন থেকে ফোন দিয়ে ১৪ দিনের জন্য নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন সেই আদেশ অমান্য করে পাশ্ববর্তী ভুকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি গ্রামে বিয়ে ঠিক করেন এবং প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার তিনি বিয়ে করেন ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জলিল আহমদের কন্যা ইপা বেগমকে।
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের স্থানীয় সাত্তার কমিউিনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন শর্ত না মেনে বৃহস্পতিবার কমিউনিটি সেন্টারে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই প্রবাসী রিয়াজ। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে সাত্তার কমি্উনিটি সেন্টারে গিয়ে হাজির হন। পরে বিয়ের আসর পন্ড করে দিয়ে বর রিয়াজ উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অপরদিকে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের চকের গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান (মাষ্টার) এর পুত্র ওমান প্রবাসী জিয়াউর রহমান জিয়া গত ১৫ মার্চ দেশে আসেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে ফোন দিয়ে ১৪ দিনের জন্য নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়, কিন্তু জিয়া সেই আদেশ অমান্য করে ২০ মার্চ শুক্রবার ভাটেরা ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে বিয়ে করার প্রস্তুতি নেন। ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বার দুপুরে তার আকদ অনুষ্টানে উভয় পরিবারের আত্মীয় স্বজন উপস্থিত হন। খবর পেয়ে ইউএনওর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সরেজমিন বরের বাড়িতে উপস্থিত হলে কিছু লোক বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর হোম কোয়ারেন্টাইন আদেশ না মানায় বর জিয়াকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ের অনুষ্টান করার নির্দেশনা দেয়া হয়।