বড়লেখায় খাদ্যকর্মসূচীর চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, ব্যবসায়ী কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৩:০৩,অপরাহ্ন ০৪ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৬২১ বার পঠিত
ঊষারবাণী নিউজডেস্ক : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জ্বালানী কাঠের দোকান থেকে খাদ্য কর্মসূচির চাল উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (০৪এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চাল উদ্ধারের ঘটনায় বড়লেখার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গোদাম কর্মকর্তা দীপক সুত্রধর বাদী হয়ে ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
এর আগেরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো জব্দ করেছিলেন। এসময় দোকানদার প্রদীপ দাসকে পুলিশ আটক করে। তিনি উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মিহারী গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে ও ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ্র দাসের ভাই।
সূত্র জানায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অতিদরিদ্রের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য বর্ণী ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলার আব্দুছ ছাত্তার গত ১০ মার্চ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মে. টন চাল উত্তোলন করেন। চালগুলো ২৪৯ জন হতদরিদ্রের মধ্যে ১৯ মার্চের মধ্যে জনপ্রতি ৩০ কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রির কথা। অভিযোগ রয়েছে সরকারী চালের ডিলারশীপ কাগজে কলমে আব্দুছ ছাত্তারের নামে থাকলেও মূলত তা পরিচালনা করেন বর্ণী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার নাজিম উদ্দিন। তিনি সিংহভাগ কার্ডধারী হতদরিদ্রদের মার্চ মাসের বরাদ্দের চাল না দিয়ে ফকির বাজারের জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের নিকট বেশির ভাগ চাল বিক্রি করে দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৩২ বস্তা সরকারী চাল জব্দ করেন। এসময় পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের ভাই ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ দাস জানান, ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী মহিলারা চালগুলো তার ভাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে। এ চাল ক্রয় করা যে বে-আইনি তা সে জানতো না। তবে কোন কোন মহিলা চাল বিক্রি করেছে জানতে চাইলে তিনি করো নাম বলতে পারেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ শুক্রবার রাতে বলেন, চাল উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।