জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রদত্ত তদন্ত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় পুনঃ তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০০:০৯,অপরাহ্ন ২২ মে ২০২০ | সংবাদটি ৩৬৬ বার পঠিত
জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের গত ১২ মে প্রদত্ত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে স্বীয় পদ থেকে অপসারণের লক্ষ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (উপজেলা-২ শাখা)।
উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কর্তৃক ১৮ মে স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক মদ্যপ অবস্থায় একদল সংঘবদ্ধ লোক নিয়ে গত ১ মে রাত ১০ টায় ‘বন্ধু পোলট্রি ফার্ম’ এর উপর বেআইনীভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট এবং ফার্মের মালিক দীনবন্ধু সেনের আর্থিক, শারীরিক ও মানবিক ক্ষতি সাধন করেন। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ধান কাটার হার্ভেস্টার মেশিনের যন্ত্রপাতি ভাংচুর, লুটপাট এবং হামলার ঘটনায় বিশাল গণজমায়েত করে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় মূহুর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটানোর কারণে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধিত) আইন ২০১১ ধারা সংশোধিত] এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কেন তাকে তার স্বীয় পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানো হয়।
জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মোঈদ ফারুকের কার্যালয়ের স্মারক নং ১০, তারিখ ১২ মে তারিখে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করেন যা কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি । এমতাবস্থায় জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (উপজেলা-২ শাখা) হতে তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের কারণে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১১ ধারা সংশোধিত] এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তাকে তার স্বীয় পদ হতে অপসারণের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা সদস্যদের (অপসারণ, অনাস্থা ও পদ শূন্যতা) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।