এফ সি ফাউন্ডেশন ও সেবা ঘরের যৌথ উদ্যোগে পথশিশু ও স্বেচ্ছাসেবীর জন্য কুরবানী আয়োজন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৫:৪৮,অপরাহ্ন ৩১ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৬৫৪ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিবেদক : শুধু পশু জবাই করাই কোরবানির মূল উদ্দেশ্য নয়। বনের পশুর গলায় ছুরি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে কোরবানি করে আত্মত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই কোরবানির আসল উদ্দেশ্য। আল্লাহতায়ালা কেবল মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন। আমরা যদি তাকওয়াবান অর্থাৎ আল্লাহভীরু হতে না পারি তবে যত সুন্দর ও যত দামি পশুই কোরবানি করি না কেন- তা কখনই আল্লাহর কাছে কবুল হবে না।
এ জন্য পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া। সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সূরা হজ, আয়াত ৩৭)।
ঈদের আনন্দ হোক সবার জন্য, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারো স্বেচ্ছাসেবী, পথ শিশুদের এবং দুস্থ পরিবারের সাথে নিজেদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এফ সি ফাউন্ডেশন ও সেবা ঘর যৌথভাবে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কোরবানীর আয়োজন করেছে। এবং শিশুদের জন্য ঈদ আনন্দ অনুষ্টানের আয়োজন করেছে।
এ বিষয়ে এফ সি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা ও চেয়ারম্যান, বাংলার পথ শিশু খ্যাত শাহ মাছুম ফারুকী বলেন, কিছু চিরকাল দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর, কিছু ফুটফুটে পথ শিশুর মলিন মুখে ঈদের রঙ্গিন আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার আনন্দ চীরকাল থেকে যাবে মানুষের অন্তরে। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে ৪০০ জন শিশুকে ঈদের নতুন জামা এবং তাদের পরিবার কে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবং সাথে সাথে প্রায় ৩০০+পরিবারের জন্য কোরবানীর আয়োজন করেছি আমরা। এফ সি ফাউন্ডেশন ১২ বছর যাবত এই আয়োজন করে আসছে।
এই বছর সেবা ঘরের প্রতিষ্টাতা জনাব ওয়াহিদুজ্জাম আমার সাথে উনার অনুভূতি জানালে আমরা সেবা ঘরের সাথে যৌথভাবে এই আয়োজন করি, ইনশাআল্লাহ সকলের সহযোগীতা পেলে আগামীতে কোন স্বেচ্ছাসেবী থাকবেনা যার ঘরে কোরবানীর গোস্ত পৌঁছাবেনা।
সেবা ঘরের প্রধান উদ্যোক্তা ও সমন্নয়ক জনাব ওয়াহিদুজ্জাম বলেন, আমরা সেবাঘরের মাধ্যমে সারা বছর মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া মানবতার রাজপুত্র/রাজকন্যা যারা কোরবানী দিতে পারছেন না তাদের জন্য এফ সি ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথভাবে কোরবানীর আয়োজন করেছি। উল্লেখ্য যে,এফ সি ফাউন্ডেশন ১২ বছর যাবত পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং স্বেচ্ছাসেবী দের স্বচ্ছলতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, এযাবতকাল করোনা মহামারী তে ত্রাণ বিতরণ, করোনা রুগীকে অক্সিজেন সেবা, এম্বোলেন্স সেবা এবং করোনায় মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন,দাফন এবং সৎকার কাজ করে যাচ্ছে। এবং সেবা ঘর সকল স্বেচ্ছাসেবী দের কে স্বাবলম্বী করার জন্য দিন রাত নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ইতিমধ্যে সেবা ঘরের মাধ্যমে কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছে এবং অসংখ্য সেচ্ছাসেবীর কর্মসংস্থান হয়েছে।