অধ্যাপক মোতাহের ‘কবি সাহিত্য ও লেখক পরিষদ’ মৌলভীবাজার জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৪:২৬,অপরাহ্ন ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ৬৩৯ বার পঠিত
এ.কে.এম.তাহিরুল হক, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার : ‘বাংলাদেশ কবি সাহিত্য ও লেখক পরিষদ’ মৌলভীবাজার জেলার ‘সিনিয়র সহ-সভাপতি’ নির্বাচিত হলেন শিক্ষক,সাংবাদিক, কলামিষ্ট,লেখক,গবেষক, সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংগঠনের জেলা কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে তাঁকে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ কবি সাহিত্য ও লেখক পরিষদ’ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি কবি সৈয়দ শওকতুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক এ.কে.এম. তাহিরুল হকের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে কবি লেখক ও গীতিকার সৈয়দ শওকতুজ্জামানকে সভাপতি ও শিক্ষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট এ কে এম তাহিরুল হককে সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের কুলাউড়া প্রতিনিধি ও লেখক মাহফুজ শাকিলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটিতেই সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক মোতাহের হোসেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মোতাহের হোসেন ‘মানবতার জন্য ভাসানী ফাউনোডশন’ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, ‘হাওর বাঁচাও কৃষক বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ কুলাউড়া উপজেলার সভাপতি, ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি, অনলাইন পোর্টাল ‘ঊষারবানী ডটকম’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং মানবাধিকার সংগঠন এমনেষ্টি ইন্টারন্যশনালের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ট্রিপল মাস্টার্স ( একাউন্টিং, ইংরেজি ও ফিনান্স) ডিগ্রিধারী ও এল.এল.বি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক মোতাহের হোসেন এর ১৯৯৯ সালে সিলেট মদনমোহন কলেজের অনারারী প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবনের শুরু হলেও ২০০০ সালে তিনি কুলাউড়া ইউছুফ-গণি কলেজের(বর্তমানে এম.এ.গণি কলেজ) প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে অদ্যাবধি কৃতিত্বে সাথে নিজেকে এতদঅঞ্চলে একজন সুনামধ্য ও আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একাধারে সিলেট শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিজ্ঞ পরীক্ষক হিসেবে গত ২০ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সেই ১৯৮২সালে ছাত্রাবস্থায় তাঁর সিলেট থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক যুগভেরী’ পত্রিকার মাধ্যমে লেখালেখির যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে তিনি দৈনিক সিলেট বানী পত্রিকায় নিয়মিত সংবাদ, কবিতা, ছোট গল্প,প্রবন্ধ ও কাব্য সমালোচনা লিখতেন। একপর্যায়ে তিনি ‘দৈনিক সিলেটবানী’ পত্রিকায় সামছুল হকের সাথে যৌথ ভাবে সাপ্তাহিক সাহিত্যের পাতার সম্পাদনাও করেছেন।
একসময় সঙ্গীত চর্চা আবৃত্তি ও অভিনয়ের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন অধ্যাপক মোতাহের হোসেন। কলেজ জীবনে তিনি কলেজে ও বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ নাটকে অভিনয়সহ নানা প্রগ্রামে পারফরমেন্সের মাধ্যমে ভালো একজন হারমোনিয়াম বাদক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁর। এখনো তিনি সঙ্গীতচর্চার মাধ্যমে নিজের অবসর সময়কে উপভোগ করে থাকেন। তিনি ‘সিলেট থিয়েটার’ ও তৎকালীন ‘রেডিও বাংলাদেশ সিলেট’ এর প্রতি শুক্রবারের নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করতেন। ১৯৯২ সাল হতে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সিলেট সেন্ট্রাল লিটারারী এন্ড কালচারাল অর্গেনাইজেশন’ এর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিজ এলাকার সেই ১৯৬৯ সালে সিলেট বিভাগের প্রথম প্রতিষ্ঠিত ও নিবন্ধিত ভাটেরা ক্লাবেও দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে সিলেট স্টেডিয়ামে অনুষ্টিত ১৯তম জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলনে কবি বেগম সুফিয়া কামাল,শামসুর রহমান,কবি আসাদ চৌধুরী, শিল্পি সাগর সেন,কাদেরে কিবরিয়া প্রমুখের উপস্থিতিতে দর্শকদের মধ্য হতে তাৎক্ষনিক রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতা আবৃতি ও সঙ্গীত পরিবেশন করে সম্মানসূচক সনদ অর্জন ও পূরষ্কার গ্রহন করেছিলেন।
ব্যাক্তি জীবনে নির্লোভ, নিরঅহংকার ও পরোপকারী মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন খুবই সাদামাঠা জীবন যাপনে অভ্যস্থ। স্ত্রী পারুল বেগম ইংরেজীতে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হওয়ার পরেও পুরোদুস্তর একজন গৃহিনিী। ২৩বছরের সংসার জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। তাঁর একমাত্র মেয়ে মেহের নিগার তাজকিয়া অনার্স(হিসাব বিজ্ঞান) ২য় বর্ষের ছাত্রী। জৈষ্ঠ্য ছেলে মুবতাসিম ফুয়াদ তাসনিম ১০ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত এবং কনিষ্ট ছেলে মাশরুর ফারহান তাহসিন ৭ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।