বড়লেখায় সেই কাওসার চক্র কর্তৃক এলাকাবাসীকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি !
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৫:৫৫,অপরাহ্ন ০৩ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ১২৩০ বার পঠিত
বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ এলাকার প্রবাসী হাজী তাজ উদ্দিন এর সাথে প্রতারণা করে সর্বস্ব হরন করে নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক কাওসার আহমদের ঘটনাটির জল পর্যায়ক্রমে অনেক দূর গড়াতে চলেছে। টিলাবাজার মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম কাওসারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে হাজী তাজ উদ্দিনের করা আবেদনের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কাওসারের অপরাধ জগতের অন্যতম সহযোগীগণ কর্তৃক মাদ্রাসায় প্রকাশ্য সভা করে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বড়লেখার দক্ষিণভাগ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি বশির আহমদ, আব্দুর রহিম, জামাল প্লাজার সত্তাধিকারী হাজী তাজ উদ্দিন, এবং দৈনিক আমাদের অর্থণীতির প্রতিনিধি ও মৌমাছি কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক রাহেলা সিদ্দিকা বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে জিডি এন্ট্রি দায়ের করেছেন। জিডি নং-৬৬৪, তারিখঃ ১২/০৯/২০২০। জিডির আসামীগণ হলেন,বড়লেখা দক্ষিণ ভাগের মৃত ওমর উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান(ফজলু),মৃত আব্দুল খালিক দুখুর ছেলে গিয়াশ উদ্দিন। স্বাক্ষীগন হলেন, টিলা বাজার মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মৌলানা আব্দুল কাদির,সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার ও আছকির আলী।
জিডির বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বিবাদীগণ কোটি কোটি টাকা প্রতারনার অভিযোগে অভিযুক্ত কাওসার এর সকল কু কর্মের সহযোগী।প্রায়ই প্রবাসী তাজউদ্দিনের বাসার সামনে আসিয়া নানা কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য ও সন্ত্রাসী কায়দার অঙ্গভঙ্গি করে থাকে। সেই চক্রের সাথে যোগ দিয়েছে হাজী তাজ উদ্দিনের বাসার চাকর মুজিবুর রহমান জয়নাল ,যে বাসার বাটখারা পর্যন্ত চুরিকরে বিক্রি করে আত্মাৎ করেছে। বিগত ০৪/০৮/২০২০ইং তারিখ সকাল ১১টার সময় টিলাবাজার মাদ্রাসায় সভা করে আসামীগণ জিডি এন্ট্রি দায়েরকারী সকলকে এই বলে হুমকি প্রদর্শন করে যে, তাদের কাউকে হাজী তাজ উদ্দিনের বাসার সামনে পেলে দা দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করা হবে। স্বাক্ষীগণের সাক্ষাৎ প্রমাণ ও হুমকির অডিও রেকর্ড অভিযোগ কারীদের নিকট সংরক্ষিত আছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী হাজী তাজ উদ্দিন বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে যে কেউ আমার দক্ষিণভাগ জামাল প্লাজার সামনে আসলে আসামীগণ প্রকাশ্যে প্রাণ হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের হুমকি হতে প্রশাসনের লোকজনও রেহাই পাচ্ছেনা। এ নিয়ে আমি অনেক শংকায় আছি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা চাচ্ছি।
প্রতারনার স্বীকার হাজী তাজউদ্দিন আরো বলেন, যাদের বছরের পর বছর আমি লালন-পালন ও ভরন পোষন চালালাম। নিস্ব হতে সাবলম্বী করলাম, যারা আমার সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে, আমার ব্যবসায় প্রতিষ্টানের দাড়িপাল্লা পর্যন্ত বিক্রি করে আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করে মৃত্যুপথযাত্রী বানিয়ে একা ফেলে চলে গেল। আজ সেই সব লুটেরা ও প্রতারকদের কারনে এলাকার লোকজন মানবিক কারনে আমাকে দেখতে আমার বাসায় আসতে পারছেনা । এলাকার লোকজনকে দেখলেই তারা প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। এ কোন আজব দেশে বাস করছি আমরা?