ব্রাহ্মণবাজারে সন্ত্রাসী জুনেদ কর্তৃক প্রতিবেশীর স্ত্রীকে মারপিট করে টাকা ছিনতাই
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৬:২৯,অপরাহ্ন ০৮ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ৯১০ বার পঠিত
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীর স্ত্রীকে রাস্তায় আটকিয়ে ছিনতাই করেত গিয়ে কবিরুন বেগম নামক মহিলাকে মারপিট করে নগদ ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা চরম আহত অবস্থায় বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার স্বামী তাজির মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে উপজলোর ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের কানুপট্রি এলাকায়। মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী হতে জানা যায়, মামলার আসামী ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুস্তম মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে জুনেদ মিয়া এলাকায় দূধর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ীও চরিত্রহীন লম্পট প্রকৃতির ছেলে। এমন কোন কুকর্ম নেই যা সে করতে পারেনা। তার কারনে গোটা এলাকার মানুষ সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। ঘটনার তারিখ সন্ধা ৬.৩০ ঘটিকার সময় নির্যাতিতা কবিরুন বেগম বাজার নিয়ে তার স্বামীর দোকান হতে বাড়ী ফিরার পথে বিবাদী জুনেদ মিয়া তাকে পথে আটকিয়ে কাঠের রুলার দিয়ে এলাপাথাড়াী মারপিট শুরু করে মারাত্বক জখম করে। নির্যাতিতার চিৎকারে আশপাশ হতে লোকজন দৌড়ে আসা শুরু করলে বিবাদী জুনেদ মিয়া ভিকটিম কবিরুন বেগমের হাতে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বামী তাজির মিয়া স্ত্রীকে কুলাউড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে কার শারিরীক অবস্থার মারাত্বক অবনতি ঘটলে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিতা কবিরুন বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ.এস.আই আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটির প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযোগকে জিডি হিসেবে ডায়রিভূক্ত করা হয়েছে এবং প্রসিকিউশন প্রতিবেদন আকারে আদালতে অগ্রবর্তী করা হয়েছে।
মামলার বাদী তাজির মিয়া বলেন, বিবাদী জুনেদ মিয়ার ভয়ে এলাকার কেউ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। সে প্রায়ই চুরি,চামারী, ছিনতাই, ডাকাতি,সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকে। সে এলাকায় একজন চরিত্রহীন লম্পট ছেলে। এলাকায় সে অপরাধের একটি অভয়ারন্য গড়ে তুলেছে। এলাকাবাসী তার কুকর্ম হতে মুক্তি চায়।