সিলেটে এ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ফুলেল অভ্যর্থনায় সিক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৪:৫০,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০২১ | সংবাদটি ৫০৮ বার পঠিত
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা রাত সোয়া সাতটার দিকে এসে পৌঁছলে বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও তার সহধর্মিনী মিসেস আফসারী খানমকে ফুলেল অভ্যর্থনা দেয়া হয়। এই অভ্যর্থনা দেন সিলেটের জজ কোর্টের পিপি ও জিপি নেতৃবৃন্দ।
অভ্যর্থনা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন পিপি, এডভোকেট রাজ উদ্দিন জিপি, এডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী পিপি, এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, এডভোকেট এ. কে. এম. শমিউল আলম, এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট জামিল উদ্দিন, এডভোকেট জামিলুল হক, এডভোকেট হোসেন আহমদ, এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, এডভোকেট হুমায়ুন কবির বাবুল, এডভোকেট রনজিত সরকার, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, এডভোকেট মাসুক আহমদ, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট আবুল খয়ের হেলাল, এডভোকেট সৈয়দ শামীম আযহার, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এডভোকেট রাশিদ সাঈদা খানম, এডভোকেট মামুন রশীদ, এডভোকেট বিনয় ভূষণ দাস, এডভোকেট জয়জিৎ আচার্য্য, এডভোকেট শাহ সাকী, এডভোকেট রাজীব মিত্র, এডভোকেট কানন আলম, এডভোকেট জাহিদ সরোয়ার সবুজ, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম প্রমুখ।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী আমিন উদ্দিন সিলেট সার্কিট হাউসে ওইদিন রাতযাপন করেন। রাত ১১ টা পর্যন্ত সিলেট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আইনজীবীদের সাক্ষাত দেন। অতি সাধারণ আমিন উদ্দিন পরদিন ১১ জানুয়ারি সহধর্মিনী মিসেস আফসারী খানমকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যান। প্রকৃতির সাথে মিতালী শেষে দুপুরের দিকে ফিরে আসেন সার্কিট হাউসে। এখানে রাত ৮ টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন পর্যায়ের আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত দেন। রাত আটটায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমিন উদ্দিনের সাথে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পেশাজীবী ব্যক্তিত্বরা কুশোল বিনিময় করেন। ১২ জানুয়ারি সকাল আটটায় তিনি ফিরে যান রাজধানীতে।
প্রসঙ্গত, এএম আমিন উদ্দিন ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর মৌলভীবাজারে কুলাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। এরপর সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এলএলবি করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত, ১৯৮৯ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন তালিকাভূক্ত আইনজীবী, ২০০৩ সালে আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। আমিন উদ্দিন ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি দুই মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চার বছর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, ২০০০ থেকে ২০০১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখনো তিনি বারের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এএম আমিন উদ্দিন একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী যিনি এখন বাংলাদেশের ১৫ তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।