“আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটি অনুমোদন করেছেন।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার সাইদুর রহমান খান কে এই উপ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তার সঙ্গে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেলিম বলেন, “আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ও রাষ্ট্রীয় কর্মপরিকল্পনা সমূহ বাস্তবায়ন এবং আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টেকসই করার লক্ষ্যে দলকে তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণা কর্মের মাধ্যমে সর্বোতোভাবে সহায়তা করাই এ উপ কমিটির কাজ ।”
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
“এই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণসহ নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই উপ কমিটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণপূর্বক সেগুলো দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন এবং দলের প্রয়োজনে সকল প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গবেষণা কর্ম পরিচালনা ও তার ফলাফল সময়ে সময়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কে অবহিত করে থাকে ।”
দলীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের মধে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, তথ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাংসদ জাকিয়া পারভিন খানম, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু।
এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন, অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট রুবানা হক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলালুদ্দীন নিজামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও ভূতত্ত্ববিদ মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়া রহমান আছেন সদস্য হিসেবে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. হাসিবুল আলম প্রধান, প্রণব কুমার পাণ্ড, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার মো. শাহজাহান, ক্রিয়েটিভ ক্রাউডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশের রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসীম সরকার, চিকিৎসক জাহানারা আরজু, অধ্যাপক শবনম জাহান, সাংবাদিক কাজী হেমায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শবনম আজিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও নির্বাহী পরিচালক তারিন হোসেন মঞ্জু, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সর্দার, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক আসিফ, নাঈমুজ্জামান মুক্তা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আদনান ফাহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবিএম আশরাফুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তারকেও সদস্য করা হয়েছে এই কমিটিতে।
তথ্য ও গবেষণা কমিটিতে আরও আছেন অ্যাডভোকেট শওকত আলী পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট আরেফা পারভীন তাপসী, এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন শাহীন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আমেনা কোহিনুর, অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা, এস এম এনামুল হক আবীর, নাজমুল ইসলাম তুহিন, জিয়া উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া, রাশিদুল বাশার ডলার, মোহাম্মাদ এমদাদুল হক, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, সাকিবুর রহমান শরিফ কনক, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, গাজী আহানাফ সাকিব, হোসাইন ইমাম, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান হেভেন, সৈয়দ আবু তোহা, মাসুদ পথিক, আরিফ সোহেল, রায়হান কবির, রকিবুদ্দিন আহমেদ ঢালী, মাসুদ পারভেজ, হাসানুজ্জামান লিটন, সাংবাদিক মামুন অর রশিদ, লিপন মণ্ডল, এস এম রেজাউল হাফিজ রেশিম, মোস্তাফিজুর রহমান জাহান, সারোয়ার মামুন চৌধুরী, মো. রাজীব হোসেন, আলমগীর হোসেন, জামান সিকদার ও সোহেল তালহা।
এই কমিটিতে মোট সদস্য সংখ্যা কত তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে চান না সেলিম মাহমুদ। তবে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট করে এটা বলা যাবে না, অনেক সময় পরিবর্তন হতে পারে। নতুন সংযুক্তি আসতে পারে।”
