এর আগে একই দায়ে মোট ৪২জন প্রতিষ্ঠান প্রধানের ৩ মাসের এমপিও কেটে রাখার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগের ভুল তথ্য পাঠানো এরকম ৯ শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এ দফায় তিন মাসের বেতন হারানো শিক্ষকরা হলেন, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দক্ষিণ সুতালড়ী এইচএমজেকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র হালদার, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দেওদীঘি কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের দরবেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ভৌমিক এবং পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা খাতুন।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিধান ছিল, এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে বহুল পরিচিত। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধান আদেশ জারির আগেই ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়েছিলেন। ফলে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। এনটিআরসিএর মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও প্রার্থীদের এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার জন্য। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই, দায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তিন মাসের এমপিও কর্তন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে।