রাজনগরে ক্বারী ফরিদ উদ্দিন হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৯:৪৮,অপরাহ্ন ০৯ জুলাই ২০২২ | সংবাদটি ৩৫৫ বার পঠিত
রেহানা আক্তার নাসিমা, মফস্বল সম্পাদক :
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার দত্তগ্রামে ক্বারী ফরিদ উদ্দিন হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপলক্ষে ঈদের নতুন পোষাক, বিভিন্ন ফলমূল ও জবাইকৃত গরুর মাংশ প্রদান করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এতিম শিশুদের জন্য যেন এ ছিলো এক অতি আনন্দের মহেন্দ্রক্ষণ। নিজ চেখে না দেখলে এ অনুভূতি বর্ণনাতীত। শিশুগুলো তাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ছেড়ে মাত্র কয়দিনের ছুটিতে বাড়ীতে যেতে একদিকে যেমন তাদের কষ্ঠ হচ্ছিল অপর দিকে এ যেন এভারেষ্ট জয়ের অনুভূতি তাদের চোখেমুখে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই)সকাল ১০ ঘটিকায় অনুষ্টিত এতিমদের ঈদের ছুটি উপলক্ষ্যে সাময়িক বিদায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক,হাওর রক্ষা পরিষদ এর সভাপতি এবং লেখক পরিষদ মৌলভীবাজারের সিনিয়র সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন। মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান হাফেজ মৌলানা সালমান ফারসি এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলানা আনাছ মাহমুদ, মৌলানা হাফেজ মুহিবুর রহমান, মোঃ কলিম উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঊষারবাণী পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক রেহানা আক্তার নাসিমা ও সহবার্তা সম্পাদক মুবতাসিম ফুয়াদ।
উল্লেখ্য যে, রাজনগর উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকার ধর্মপ্রান ও জনহিতৈসি বেলজিয়াম প্রবাসী মোহাম্মদন নজরুল ইসলাম রাজনগর এলাকার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত দরিদ্র, অসহায় ও এতিম শিশুদের লালন-পালন ও সু শিক্ষায় প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে তাঁর প্রবাসের কষ্ঠার্জিত অর্থ এবং এলাকা বাসীর সহযোগিতায় বিগত ২০০৪ সালে নিজস্ব ভূমিতে ‘ক্বারী ফরিদ উদ্দিন হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ নামে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্টিত করেন যা বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কর্তৃক ক্যাপিট্যাশন মঞ্জুরী প্রাপ্ত। প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৬০জন দূস্থ ও এতিমদের জন্য আবাসিক এতিমখানা, হেফজ খানা, গণ শিক্ষা কেন্দ্র, মসজিদ, পাঠাগার ও ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটিতে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ একাডেমিক শিক্ষা চলমান আছে। রয়েছেন বেতন ভূক্ত ৭জন শিক্ষক ও কর্মচারী।
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই যে কারোরই আবেগ উৎসারিত হবে। একটি এতিম খানায় শিশুদের জন্য যে পরিবেশ গড়ে তুলা হয়েছে তা সত্যিই অনুকরণীয় ও প্রসংশার দাবীদার। অনেক স্বচ্ছল পরিবারও তার সন্তানদের এতা উচুমানের শিক্ষা উপকরণ ও সুবিধাদি প্রদান করতে পারছেনা। প্রতিষ্ঠানের সামনে অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর দূর্লভ ফলজ বৃক্ষ ও সানবাঁধানো ঘাট সমেত পুকুর, শিশুদের খেলাধুলার জন্য নানারকম দোলনা ও উপকরণ প্রতিষ্ঠানটির শুভা বর্ধন করেছে।