চির বিদায় নিলেন কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ ফরিদা বেগম (৭৫) । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।সিলেট এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রয়াত মো. মতিউর রহমানের সহধর্মীনি ছিলেন তিনি।

সোমবার (১৮ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে সিলেট নগরের সোবহানিঘাটস্থ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।   মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বাদ আসর সিলেট নগরের নয়াসড়ক জামে মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা শেষে মানিকপীর (রহ.)-এর মাজার গোরস্তানে স্বামীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

নিহতের জামাতা সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুকির হোসেন চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক ফরিদা বেগম বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভোগছিলেন। ঈদুল আজহার পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর সুবহানীঘাটস্থ ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিনগত গভীররাতে মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ফরিদা বেগমের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। তবে বর্তামানে তিনি স্বপরিবারে সিলেট নগরের মিরাবাজার মৌসুমি ৬ নম্বর নিজ বাসায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। দুই ছেলের মধ্যে তাঁর বড় ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এবং ছোট ছেলে এবি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার। বড় মেয়ে গৃহিনী ও ছোট মেয়ে নগরের একটি কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

মরহুমা ফরিদা বেগমের ছোট বোন নুরুন নাহার ফাতেমা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও চিকিৎসাসেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত। তাঁর একভাই অধ্যাপক ডা. একেএম রাজ্জাক দেশের নামকরা থোরাসিক সার্জন। তাঁর বড়ভাই একেএম বদরোজ্জা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। এছাড়া মরহুমার তিনভাই চার বোনের মধ্যে সবাই সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।