ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী শিশু সিফাতের চিকিৎসার টাকা ছিনতাই
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪১:০২,অপরাহ্ন ২৮ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৩৮ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক : সিলেটের মানুষ অসহায় বা দরিদ্রদের
সাহায্যার্থে বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। এমনটিই দেখা যায় সবসময়।সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে সিলেটে। যা নাড়িয়ে দিয়েছে মানবতাপ্রেমীদের। একদল ছিনতাইকারী ছিনিয়ে নিয়েছে এক অসহায়, মৃত্যুপথযাত্রী শিশুর সাহায্যার্থে গাড়ি দিয়ে উত্তোলন করা প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সাহায্য উত্তোলনকারী গাড়ি থেকেই টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তদের দল। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারে জন্য অসুস্থ শিশুর পিতা পুলিশে অভিযোগ করেছেন মঙ্গলবার। পুলিশ বিষয়টি অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর বাজারের লাগোয়া ব্রিজের সামনে; গত শনিবার রাতে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই শিশুর স্বজনরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত চার বছরের শিশু সিফাত (৪)। সে নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পিকআপ ভ্যানের চালক আতাউর রহমানের ছেলে। সে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। সেখানে দ্বিতীয় তলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে অসুস্থ সিফাতের চিকিৎসা। সিফাতকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ করতে অন্তত ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন।
দরিদ্র ভ্যানচালক পিতার জন্য এ বিশাল অর্থ যোগাড় করার সাধ্য নেই। তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পেতেছেন। সিফাতের জন্য সময় ও শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করছেন তার আত্মীয় ও পাড়া-পড়শি। স্বেচ্ছাশ্রমে তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সিএনজি অটোরিকশাতে করে, মাইক লাগিয়ে সংগ্রহ করছেন সিফাতের জন্য সাহায্য।
সিফাতের পিতা আতাউর রহমান মঙ্গলবার রাতে বলেন, আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমার সমন্ধিক জামাল ও প্রতিবেশি শামীম সিলেটে আমার সন্তানের জন্য সিএনজি অটোরিকশাতে মাইক ও ব্যানার লাগিয়ে সহায়তা সংগ্রহ করছিলেন। তাদের সাথে আরেকজন প্রতিবেশিও ছিলেন। তার নাম আমার মনে পড়ছে না। শনিবার রাতে জালালপুরে ৩/৪টি মোটরসাইকেলে এসে একদল ছিনতাইকারী সিএনজি অটোরিকশা আটকিয়ে সব টাকা নিয়ে যায়। তখন আনুমানিক ত্রিশ হাজার টাকার মতো হবে বলে সিএনজিতে থাকা স্বেচ্ছাসেবী ও চালক জানিয়েছেন। খবরটি শোনে আমি সিলেট চলে আসি।
তিনি জানান, টাকা ছিনতাইয়ের কথা জানতে পেরে আমি বিষয়টি উল্লেখ করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।