বড়লেখার সুজানগর ইউপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৯:২১,অপরাহ্ন ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩২৪ বার পঠিত
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। সংস্কার কাজ সম্পন্নের মাত্র ১ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই বৃষ্ঠির পানি ছুয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে ভবনের ছাদ ও টয়লেটের দেয়াল। দীর্ঘ বছর পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সংস্কার কাজের জন্য সরকারী বরাদ্দ পাওয়া যায় কিন্তু ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করায় এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আশির দশকে নির্মিত সুজানগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ সংস্কার না করায় অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এ বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে টেন্ডার আহবান করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সংস্কার কাজের টেন্ডার পায় সিলেটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদর্শ এন্টারপ্রাইজ। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অবশেষে জুলাই মাসের শেষের দিকে সংস্কার শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন নিুমানের কাজের ব্যাপারে বারবার আপত্তি করা স্বত্তেও ঠিকাদারের মিস্ত্রিরা ফ্লোর চিপিং না করে টাইলস ফিটিং, দেয়ালের ময়লা সঠিকভারে পরিস্কার না করে রঙ দেয়, ডেম্প পলেস্তরা না তুলে তার নতুন পলেস্তরা করে, ছাদ চিপিং না করে জলচাপ দেয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ঠিকাদারের লোকজন কাজ সম্পন্ন করে চলে যান।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছাদ ছুয়ে এবং দেয়াল গড়িয়ে বৃষ্ঠির পানি পড়ায় ভবনের ওয়েটিং রুম, করিডোরসহ বিভিন্ন কক্ষের ছাদ ও দেয়াল বিবর্ণ (সবুজ ফাংগাস) হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, এলাকার বাসিন্দা আব্দুন নুর, বকুল আহমদ, সমছ মিয়া, নুর উদ্দিন, নাঈম আহমদ প্রমূখ জানান, ঠিকাদারের লোকজন গড়ে ১০-১২ দিন কাজ করেছে। এতে ২-৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে কি না সন্দেহ রয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি এ অবস্থা, তবে ১-২ বছর পরে কাজের অস্তিত্বই থাকবে না। স্থানীয়রা সংস্কার কাজে ঠিকাদারের চরম অনিয়মের পিছনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান জানান, সংস্কার কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের বাজেট, সিডিউল, ওয়ার্ক অর্ডার, কাজের মেয়াদ কোন কিছুই ঠিকাদার তাকে জানায়নি। নিুমানের কাজের ব্যাপারে এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদর্শ এন্টারপ্রাইজের তত্তাবধায়ক তপন বাবু জানান, গত ঈদের আগে সংস্কার কাজ শেষ করেছেন। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি।
এব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম পাটানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি রেসপন্স না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।