শ্রমিকলীগ নেতা হেলালের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে নিন্দার ঝড়
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫০:০২,অপরাহ্ন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৪৭২ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়ায় ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ হেলাল এর বিরুদ্ধে মামাতো বোন ধর্ষনের অভিযোগ শিরোনামে স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত নিউজের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা শাহ হেলালের পরিবার, ব্রাহ্মনবাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট রাজনৈতিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শুভাকাঙ্কীরা। প্রতিবাদকারীগণ বিভিন্ন সামাজিক গনমাধ্যমে শতশত পোস্টের মাধ্যমে একটি মহল কর্তৃক শাহ হেলাল ও তাঁর পরিবারের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ।
শাহ হেলালের পিতা মৌলানা আতাউর রহমান বলেন, “একটি স্বার্থান্বেসী মহল আমার ছেলে শাহ হেলালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কল্পকাহিনী সৃষ্টি করে আমার সরল ছেলেটিকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বাস্তবতা হলো অভিযোগ কারীর পরিবার ও আমাদের পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে। দুটি পরিবারের সামান্য ভুল বুঝাবুঝিকে পুঁজি করে ঐ মহল মেয়েটির পরিবারের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে দুই পরিবারের সম্মানকে বাজারের পন্যে পরিনত করেছে।” তিনি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে মানহানিকর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এ ধরনের অপপ্রচার হতে সবাইকে বিরত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন।
ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শাহিন তার নিজ ফেসবুক পেজে লিখেন, “সদা হাস্যজ্বল সরল ছেলেটিকে নোংরা মনের মানুষগুলো কিভাবে ফাঁসাল তা ভাবতে আমার কষ্ঠ হচ্ছে। তবে হেলাল যে নির্দোষ তা প্রমাণ শুধু সময়ের ব্যাপার।”
জনাব শাহীন আরো উল্লেখ করেন, মেয়েটির অভিযোগের বর্ণনা অনুযায়ী সে সমাজ বিজ্ঞান অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী এবং বর্ণিত ঘটনার দিন মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে সে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী বর্ণিত ঘটনার দিন ৯সেপ্টেম্বর সমাজবিজ্ঞান অনার্স বিষয়ের কোন পরীক্ষা ছিলনা।
কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ তার নিজ ফেসবুক পেজে লিখেন, “শাহ হেলালের বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্র। কিছু হলুদ সাংবাদিক আছে যারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে নোংরা রাজনীতির বহিপ্রকাশে লিপ্ত।”
এডভোকেট আনোয়ার আলম তার ফেসবুক দেয়ালে লিখেন, “শুধু এটুকুই বলতে চাই, অতীতের সকল চক্রান্তের মতো একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের স্বীকার সহজ সরল এই মানুষটি।” তিনি স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যমকে ইঙ্গিত করে হলুদ সাংবাদিকতার প্রতিবাদ জানান।
আহমদ কাওসার তার দেয়ালে লিখেন, “আমি হেলালকে পারসোনালি চিনি, অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। নিশ্চিত কেউ তার স্বার্থ হাসিলের জন্য এই সরল মানুষটাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।”
নাহিদ আহমদ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, “প্রকাশ্যে দিবালোকে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে গেট হতে বলপূর্বক একটি মেয়েকে মোটরসাইকেল দিয়ে একা একজন লোক প্রায় ২০ কি.মি. পথ নিয়ে এসে ব্রাহ্মনবাজারের মত ব্যস্ততম বাজারে ধর্ষন করে ফেলল, অথচ কাক-পক্ষিও টের পেলনা এটাতো আরব্যরজনীর গল্পকেও হার মানিয়েছে।”
এছাড়াও প্রতিবাদ জানিয়েছেন,ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক শিপু আহমদ, সদস্য মচিব হাবিবুর রহমান জুনু, আব্দুল আহাদ জিহাদি, ইঞ্জিনিয়ার রিপন, এনামুল হাসান দেলোয়ার, সোহেল সালাহ, সৈয়দ কামরুল হোসাইন, এস আর জীবন, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, মোঃ আলামিন, আহমেদ সজিব, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ পারভেজ, নাজমুল ইসলাম, তানভীর আহমদ, এম এইচ হোসেন , শাহ খইরুল, নাহিদ মিয়া, ফাহিম চৌধুরী সহ অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী।