সিলেটে বিদ্যুৎ বিভাগের নিরব চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ গ্রাহকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৫:০৪,অপরাহ্ন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৯২ বার পঠিত
ডেইলি সিলেট ডেস্ক : নিরবেই চলছে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজির কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এনিয়ে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ হলেও সমাধানে নেই কার্যকরী পদক্ষেপ। ফলে অব্যাহতভাবে চলছে গ্রাহক হয়রানী। চাঁদাবাজ চক্রও কাজ করে করে যাচ্ছে অনেকটা দাপটের সাথে। চাঁদাবাজ চক্রের প্রতিষ্ঠানের নাম সিলেটে বিদ্যুৎ বিভাগ।
অভিযোগ রয়েছে-এই বিভাগে কতিপর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের যোগসাজসে চলছে এই চাঁদাবাজি। পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি এলাকার কোথাও ট্রান্সফরমার বিকল কিংবা চুরি হলে গ্রাহকদের দিতে হয় দ্বিগুন ও তিনগুণ চাঁদা। তারপরও দেয়া হয়ে থাকে সেকেলে ট্রান্সফরমার যা কিছুদিন পরই আবারো হয়ে যায় বিকল।
অভিযোগ রয়েছে, ট্রান্সফরমার চোরদের সাথে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর গভীর সখ্যতা। চেরেরা একাধিক ট্রান্সফরমার চুরি করে তা আবার কিনে পরিবর্তন করে স্থাপন করা হয়ে থাকে। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হলেও নতুন ট্রান্সফরমার দেয়া হয়-এমনটা বিরল। গ্রাহকরা নিয়মিত বিদ্যুৎবিল পরিশোধ করলেও বিনা টাকায় কোথাও ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করা হয়না।
সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামে বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়। গ্রাহকরা পক্ষকাল অন্ধকারে থাকার পর মোটা অংকের টাকা প্রদানকরার পর ট্রান্সফরমারটি পুনঃস্থাপন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের একজন গ্রাহক জানান, ১৫ দিন অসহ্য গরমে গ্রামের ৩৩টি পরিবারের হাজার হাজার আদম সন্তানের নাভিশ্বাস হয়ে উঠে। বারবার আবেদন নিবেদন সত্বেও ট্রান্সফরমার পুনঃস্থাপন না করে মধ্যসত্ত্বভোগী এক দালাল মাধ্যমে গ্রামবাসীর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে পরিবার প্রতি ১ হাজার টাকা করে ৩৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পরে ট্রান্সফরমারটি প্রতিস্থান করা হয়।
এ ব্যাপারে পিডিবি’র আঞ্চলিক প্রকৌলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার অধীন চিকনাগুল এলাকায় টাকার বিনিময়ে কোন ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে-এমন বিষয় জানা নেই।