সিলেট চেম্বার নির্বাচন সম্পন্ন : দুটি প্যানেলের একটিতে ১৩ ও অন্যটিতে ৯ জনের জয়
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫০:৫৯,অপরাহ্ন ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫৪ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে সকল প্রকার জটিলতা কাটিয়ে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এবারের নির্বাচনে মোট ২২টি পদের মধ্যে ১৩টি পদে প্রাক্তন সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ সমর্থিত সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ জয় লাভ করেছে। অপরদিকে প্রাক্তন সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ সমর্থিত ব্যবসায়ী পরিষদ ৯টি পদ লাভ করেছে।
নগরীর ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পূর্ণ প্যানেল। তারা হলেন মো. এমদাদ হোসেন (৭৭৯ ভোট), মাসুদ আহমদ চৌধুরী মাকুম (৭২৯ ভোট), মো. আতিক হোসেন (৬২২ ভোট), চন্দন সাহা (৬১৬ ভোট), পিন্টু চক্রবর্তী (৫৭৫ ভোট) ও আব্দুর রহমান (৫৪৭ ভোট)।
অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন হুমায়ূন আহমদ (৯০৪ ভোট), আলীমুল এহছান চৌধুরী (৮৬২ ভোট), মুশফিক জায়গীরদার (৮২৭ ভোট), এহতেশামুল হক চৌধুরী (৮২৭ ভোট), ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ (৭৮৯ ভোট), মো. সাহিদুর রহমান (৭৫৭ ভোট), মো. আব্দুর রহমান জামিল (৭৪৪ ভোট), মো. নজরুল ইসলাম বাবুল (৬৮৮ ভোট), আবু তাহের মো. শোয়েব (৬৭৭ ভোট), খন্দকার ইসরার আহমদ রকি (৬৭২ ভোট), ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান (৬৬৮ ভোট) ও মো. মামুন কিবরিয়া সুমন (৬৬৬ ভোট)।
ট্রেড গ্রুপ থেকে যারা জয়ের মালা পরেছেন তারা হলেন তাহমিন আহমদ, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির ও ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী। টাউন শ্রেনী থেকে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন শমসের জামাল।
এবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২২টি পরিচালক পদে প্রার্থী ছিলেন ৪১ জন। এর মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ২৪ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ৬ জন এবং টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন প্রার্থী রয়েছেন। টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে শমসের জামাল একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় এ পদে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এবার মোট ভোটারের মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ছিলেন ১৪১৩ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০৪০ জন, ট্রেড গ্রুপে ১১ জন ও টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে ছিলেন ১ জন ভোটার।
চেম্বার নির্বাচনে দুটি প্যানেল এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একটি হচ্ছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ, অপরটি সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ। অর্ডিনারি শ্রেণিতে উভয় প্যানেলের ১২ জন করে প্রার্থী ছিলেন।
এছাড়া এসোসিয়েট শ্রেণিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ৬ জন ও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের ৪ জন প্রার্থী, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে উভয় প্যানেলের ৩ জন করে ৬ জন প্রার্থী লড়েছেন। আইনি জটিলতায় পড়ে চেম্বারের সর্বশেষ কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪ জুন ওই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। নির্বাচন আয়োজনে তাঁকে ১২০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দায়িত্ব নিয়ে ১৭ জুন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড গঠন করেন আসাদ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে চেয়ারম্যান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য করা হয় এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ ও এডভোকেট জুনেল আহমদকে।
গত ২ জুলাই ঘোষণা করা হয় নির্বাচনী তফসিল। তফসিলে ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়। গত ৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা। তবে এর আগেই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন চেম্বার সদস্য কামিল আহমদ। রিটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন নির্বাচন। এর পর আবারো দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এমন অনিশ্চয়তার মাঝে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চেম্বার জজে আপিল করা হয়। তাতে ফলও আসে। ওই রিটটি খারিজ করে দেন চেম্বার জজ। তাতেই নির্বাচনের রাস্তা পরিস্কার হয়।