কুলাউড়ায় বাণিজ্য মেলার নামে অবৈধ লটারি বিক্রয় ; হাতিয়ে নিচ্ছে লাখলাখ টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪১:২৬,অপরাহ্ন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৪৫ বার পঠিত
মফস্বল প্রতিবেদক,ঊষারবাণী : মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলা সহ পার্শবর্তী উপজেলা সমুহে প্রশাসনের নাকের ডগায় ক‘দিন ধরে চলছে অনুমোদনহীন অবৈধ লটারী বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন এককেটি উপজেলায় ১০/১২ টি গাড়ী মাইক বাজিয়ে তাদের এ ব্যবসা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসক বলছেন, লটারি বিক্রয়ের কোন অনুমতি নেই অথচ কুলাউড়া থানার ওসি বলছেন, সম্ভবত অনুমোদন রয়েছে। তাই লটারি বিক্রয় নিয়ে প্রশাসন ও সাধারনের মধ্যে চলছে এক মহা বিভ্রান্তি।
জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘মৌলভীবাজার সোসিও ইকোনোমিক ডেভেলাপমেন্ট অর্গেনাইজেশন’ এর উদ্যোগে এবং জুড়ি ‘উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যান সংস্থার’ সহায়তায় স্থানীয় টিএন খানম সরকারী কলেজে মাঠে একটি শিল্প বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন শনিবার বিকেল এমেলার উদ্বোধন করেন।
মেলা উদ্বোধনের পর হতে আয়োজকরা নানা লোভনীয় অফার ও পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে পার্শবর্তী উপজেলা সমুহে অবৈধ লটারির টিকেট বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন। জুড়ি,কুলাউড়া বড়লেখা, রাজনগর সহ আশপাশের সকল উপজেলা ও তার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাইক বাজিয়ে গাড়ি দিয়ে লটারি বিক্রি করে সহজ সরল মানুষ গুলোর নিকট হতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মেলা আয়োজকরা।
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকার বাসিন্দা মুমিন আহমদ, কামল হোসেন মাষ্টার , ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়েনের আব্দুল বাসিদ, সুমন দেবনাথ জানান, মাইক বাজিয়ে প্রতিদিন লটারির ড্র অনুষ্টিত হবে এবং ড্রয়ের ফলাফল স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলে এলাকার মানুষের নিকট শতশত টিকিট বিক্রি করছে মেলা অয়োজকরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ড্র অনুষ্টানের বা কারো পুরষ্কার পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কুলাউড়া ব্যবসায় কল্যান সমিতির সভাপতি মইনুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় ক‘দিন ধরে অনুমোদনহীন র্যাফেল ড্র এর ািটিকিট বিক্রয় চলছে, তিনি অনতিবিলম্বে এ ধরনের প্রতারনা বন্ধের দাবী জানান।’
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্য ইয়াদৌস হাসান জানান, “সম্ভবত লটারি বিক্রয়ের বৈধ অনুমোদন রয়েছে, নিশ্চিত না হয়ে বন্ধ করা যাবেনা।”
এ বিষয়ে মৌলবীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন সাংবাদিকদের বলেন, “লটারি বিক্রয়ের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি তাই এটা অবৈধ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি। তারপরও খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”