‘টেন্ডার কিং’ শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, তারা যা বললেন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০৯:৫৬,অপরাহ্ন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৭৭ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : ‘টেন্ডার কিং’ জি কে শামীম র্যাবের হাতে ধরা পর থেকেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার ধাক্কা লেগেছে মিডিয়া পাড়াতেও। একটি জাতীয় দৈনিক উঠে আসে শোবিজের অনেকের সঙ্গে শামীমের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ।
অভিযোগ, টেন্ডার বাগিয়ে নিতে অনেক উঠতি নায়িকা থেকে শুরু করে মডেলদের ব্যবহার করতে টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম। খবরে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ডিবি পুলিশের কাছে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন।
শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী রত্না, উঠতি নায়িকা মিষ্টি জান্নাত, মডেল ও অভিনেত্রী রাহা তানহা খান ও চলচ্চিত্রের উঠতি অভিনেত্রী শিরিন শীলা।
চিত্রনায়িকা রত্না এ বিষয়ে বলেন, আমি জি কে শামীমের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই। এ নামে যে কোনো ব্যক্তি আছে তা আজই জানলাম। আমি চাই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের নাম দ্রুত প্রকাশ করুক। তা না হলে আমার মতো অনেকের নামই এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে চলে আসবে। অবশ্যই এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমি ফেসবুকে ওপনে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। প্রমাণ হলে আমি এর দায় মাথা পেতে নেব। গণমাধ্যমের কিছু ব্যক্তি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে ঢালাওভাবে এসব সংবাদ প্রচার করছে।
এ বিষয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, আসলে আমি বুঝতে পারছি না আমাকে এইসবের মাঝে কেন জড়ানো হলো? যার কথা বলা হচ্ছে মানে জি কে শামীম তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো দূরের কথা, তার নাম আমি প্রথম শুনেছি যে দিন তাকে আটক করা হলো। যারা এসব রটিয়ে বেড়াচ্ছে আমি বলবো তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছে। এসব না এসব রটিয়ে দয়া করে ভিডিওসহ প্রমাণ দিন। আর যদি না দিতে পারেন তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
মডেল ও অভিনেত্রী রাহা তানহা খান বলেন, নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য অনেকেই নায়িকাদের নাম ব্যবহার করেন। নায়িকা হওয়ায় অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে। সেলফি তুলতে পারি। তাই বলে সেই লোকের অপরাধের দায় আমার না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পেছনে অনেক কোটিপতি ব্যক্তিরা ঘোরে। ঘুরতেই পারে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জি কে শামীমের মতো দালালের প্রয়োজন হয় না। গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে সেটা ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য জাতীয় দৈনিক ওই খবরে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে শামীম জানিয়েছেন, অনেকে কর্মকর্তারাই টাকার সঙ্গে নারীসঙ্গ চাইতো। পাঁচ তারকা হোটেলে কক্ষের ব্যবস্থাও করতে হতো। শামীমের সঙ্গে সখ্যতা অর্ধশতাধিক সুন্দরী তরুণীর। এরমধ্যে এক ডজনেরও বেশি পরিচিত নায়িকা ও মডেল। টেন্ডার বাগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নেতাদের কাছে পাঠানো হতো তাদের।
দেশের বাইরের পার্টিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন যুবলীগ দক্ষিণের শীর্ষ এক নেতা। কখনও কখনও হাজির হতেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক প্রভাবশালী এক নেতা ও সংসদ সদস্য। বেশ কয়েক পার্টি হয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। পার্টিতে পশ্চিমা পোশাকে হাজির হতেন সুন্দরীরা। মাদকে বুঁদ হয়ে সুন্দরীদের মধ্য থেকে যাকে খুশি কাছে টেনে নিতেন। দেশের মধ্যে গুলশান ও বনানীর একটি তারকা হোটেল ও কাকরাইলের একটি হোটেল ব্যবহার করা হতো একান্তে সময় কাটানোর জন্য।
‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত জি কে শামীম গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, তিনি নিজেই ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি করছেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া শামীম নিজেকে পরিচয় দিতেন যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে।