ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা শাহ হেলালের জামিন লাভ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৪:৫২,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ২৩৪৬ বার পঠিত
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শাহ হেলালের পরিবারের ক্ষোভ প্রকাশ, মানহানির মামলার প্রস্তুতি
ব্রাহ্মনবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রী কর্তৃক দায়ের কৃত ধর্ষন মামলায় জেলহাজতে থাকা আসামী শাহ হেলালকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার ২অক্টোবর বেলা ২টার সময় জেলাজজ আদালত মৌলভীবাজারের বিজ্ঞ বিচারক উপরোক্ত জামিন আদেশ প্রদান করেন।
এদিকে শাহ হেলালের পিতা মৌলানা আতাউর রহমান জানিয়েছেন, আদালত কর্তৃক তার ছেলের জামিন আদেশের খবর জেনেও কুলাউড়া থানার মামলার তদন্তকারী দারগা প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিতে হয়ে জামিনের নথি জেল হাজতে পৌছার আগেই ডিএনএ টেষ্ট করানোর নাম করে জামিনের আসামী হেলালকে রিলিজ না করেই কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসলে এক রহস্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে হেলালের পরিবার বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষের গোচরে আনলে জেলারের নির্দেশে দারগা রফিকুল ইসলাম পুনরায় হেলালকে কারাগারে ফেরত নিয়ে তার জামিন রিলিজ করে আনেন।
মামলার আসামী শাহ হেলাল ও ধর্ষনের স্বীকার বাদিনীকে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএনএ টেষ্ট করাতে বর্তমানে ঢাকা আছেন বলে হেলালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ব্রাহ্মনবাজার কোনাগাঁও এলাকার মৌলানা আতাউর রহমানের ছেলে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ হেলাল কর্তৃক বরমচাল ইউনিয়নের একরাম নগরের মঞ্জিল মিয়ার মেয়েকে ধর্ষন মামলার আসামী হয়ে হাজত বাসে ছিল।। ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ২.০০টর সময় হেলালকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বাদিনী। বুধবার মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারের ২৩ দিনের মাথায় হেলালের জামিন মঞ্জুর করেন।
শাহ হেলালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তর রাউৎগাঁও(একরামনগর) এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে জুবেল মিয়া(৩৫) মধ্য প্রাচ্য হতে আমেরিকা যাওয়ার প্রয়োজনে ৩বছর আগে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর (কুনাগাঁও) এলাকার ফুফাতো ভাই ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ হেলাল এর নিকট হতে ৯লক্ষ টাকা ধার নেয়। বেশ কিছুদিন যাবত শাহ হেলাল তার পাওনা টাকার জন্য মামাতো ভাই জুবেল মিয়া ও তার পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল কিন্তু নানা অজুহাতে জুবেলের পরিবার টাকা দিব–দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করছিল। ০৯ সেপ্টেম্বর সকালে মুটোফোনে জুবেলের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে হেলালের প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়। ঐদিন দিবাগত রাতেই জুবেলের কলেজে পড়ুয়া বোন বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় হেলালের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামী শাহ হেলাল জামিন লাভের পর তার প্রতিকৃয়ায় জানান, আমার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেয়ায় আমার উপর মিথ্যা ধর্সন মামলা করা হয়েছে। কোন টেস্টেই ধর্ষনের অভিযোগ প্রমাণিত হবেনা বলে তিনি জোর দাবী করেন। তাছাড়া উদ্দেশ্যমুলক মিথ্যা মামলা দায়েরের কারণে তাঁর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের অনেক মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বিধায় তিনি মানহানীর মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
অপর দিকে আদালত কর্তৃক ডিএনএ টেস্ট করানোর নির্দেশের প্রেক্ষিতেই হেলালকে ও মামলার বাদিনীকে টেস্ট কারনোর জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে কুলাউড়া থানা সুত্র নিশ্চিত করেছে।