ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আবার আটকে গেল ব্রেক্সিট চুক্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩২:৩৫,অপরাহ্ন ২০ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩০৯ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করা ব্রেক্সিট চুক্তি আবারও সাময়িকভাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আটকে গেল। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন বরিস জনসন। পরে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন এক চিঠির মাধ্যমে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
হাউস অব কমন্সে শনিবার এমন একটি সংশোধনীর ওপর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সংশোধনীর পক্ষের সংসদ সদস্যরা জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকরের তারিখ পেছাতে হচ্ছে।তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট পেছানো নিয়ে ব্রাসেলসের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতে পারবেন না তিনি। তার মতে, এ ব্যাপারে সময়ক্ষেপণ করা এক ধরনের ভুল।এর পরে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন এক চিঠির মাধ্যমে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ করেন জনসন।
ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক রাতে এক টুইটবার্তায় ব্রিটেনের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এইমাত্র চিঠি এসে পৌঁছেছে। এখন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ এর ফলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্ট উদ্যোগ নিলে চুক্তিটি ওই তারিখের মধ্যেই করা সম্ভব।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ৩৭ বছর পর বিশেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বসে অধিবেশন। ‘সুপার স্যাটারডে’ খ্যাত এই দিনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোটাভুটির কথা ছিল। কিন্তু হাউস অব কমন্সে সংসদ সদস্য অলিভার লেটউইন এমন একটি সংশোধনী তুলে ধরেন, যার কারণে জনসনের নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকরের তারিখ পেছাতে হচ্ছে অনিবার্যভাবে।
পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ওই সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেন। এদিন সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে ৩২২ ও বিপক্ষে ৩০৬ ভোট পড়েছে। ফলে এখন ব্রিটেনের আইন বিভাগ নতুন ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস না করা পর্যন্ত তা কার্যকর হবে না।
সংশোধনী প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উপস্থিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, সরকার আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন বিভাগীয় আয়োজন সম্পন্ন করবে। তবে ব্রেক্সিট পেছানো নিয়ে ব্রাসেলসের সঙ্গে তিনি কোনো ধরনের আলোচনায় বসতে পারবেন না।