অবশেষে শ্রীমঙ্গলের শিশু দুটির ঠাঁই হলো সিলেটের শিশু সদনে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৫:০০,অপরাহ্ন ২৪ জুন ২০২০ | সংবাদটি ১২১৮ বার পঠিত
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : গত ৪ জুন মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়নের পূর্ব জামসী গ্রামের নিজের ঘরে খুন হন ইয়াসমিন আক্তার (২৫)। ঘুমের মধ্যে নিজের স্বামী আজগর (৪০) পিটিয়ে হত্যা করেন ইয়াসমীনকে। ইয়াসমিনের মা জায়েদা বেগমকেও ওই রাতে হত্যা করেন আজগর।
পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আজগরকে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-শ্বাশুরিকে খুন করেন বলে আদালতে জবানবন্দি দেন আজগর।
এদিকে, এই ঘটনার পর একা হয়ে যায় ইয়াসমিন ও আজগর দম্পতির দুই সন্তান ইব্রাহিম (১০) ও ফাহিম(৫)৷ মা খুন হয়েছেন। বাবাও জেলে। এ অবস্থায় তাদের থাকার কোনো জায়গা ছিলো না। অসহায় শিশু দুটির স্থান হয় হয়েছিলো বাবা আজগর আলীর দরিদ্র দাদি বৃদ্ধা ফুলচান বেগমের কাছে। যেখানে ফুলচান বেগম নিজেই খেতে পান না।শিশু দুটিকে খাওয়াবেন কি করে?
এমন অবস্থায় এগিয়ে আসে পুলিশ। শিশু দুটির জন্য ফুলচান বেগমের কাছে নগদ অর্থ সাহায্য ও খাদ্যসামগ্রী দেয় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ৷ কিন্তু এতে স্থায়ী সমাধান হচ্ছিলো না। অবশেষে মঙ্গলবার (২৩ জুন) সেই শিশুদুটিকে সিলেটের বাগবাড়ীতে অবস্থিত সরকারী শিশু সদনে পৌছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আশরাফুজ্জামান জানান, পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সহযোগীতায় দুই শিশুকে আমরা সরকারি এতিমখানায় পাঠাতে পেরেছি। কিছুদিন আগে ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়ায় অনেকেই তাদের এতিমখানায় প্রেরণের জন্য আমাদের পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। অবুঝ এ বাচ্চাদুটির দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রের। বাচ্চাগুলোর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা তাদেরকে ওখানে (শিশু সদন) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷
পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। বাচ্চাদের শিশু সদনে পাঠানোর একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সেটিতে নেটিজেনরা পুলিশের প্রশংসা করেছেন৷
কাজল আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, পুলিশের এমন মানবিক কাজ অব্যাহত থাকুক, পুলিশ আরো বেশী করে জনতার হোক৷