টাইগারদের সাবেক পেস বোলিং কোচ ছিলেন হিথ স্ট্রিক। এই জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি পেসার কোচ হিসেবে বাংলাদেশের পেস বিভাগটাই বদলে দিয়েছিলেন। দারুণ সব পেসার উঠে আসছিল। কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবেক এই জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের। এরপর ভারতের কোচ হওয়ার আশায় তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। সেই হিথ স্ট্রিককে এবার দুর্নীতির দায়ে ৮ বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তার সঙ্গে আবারও উঠে এসেছে দীপক আগরওয়ালের নামটি।
টাইগারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের সব খুটিনাটি জানতেন স্ট্রিক। তাদের সবার ফোন নাম্বারও ছিল স্ট্রিকের কাছে। আইসিসি বলছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করে টাকা আয়ের প্রস্তাবের মাধ্যমে আগারওয়াল প্রথম স্ট্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরের বছর ডিসেম্বরে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের নজরে আসার পর দুজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ২০১৭ বিপিএলের সময় স্ট্রিককে ব্যবহার বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভেতরের তথ্য বের করেন আগারওয়াল।
ওই সময় আগারওয়ালকে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ফোন নম্বর ও অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগের ঠিকানা দেন স্ট্রিক। আইসিসির বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন তখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এই ‘অধিনায়ক’ ব্যক্তিটিকে নিয়েই দুয়ে-দুয়ে চার মেলানো যাচ্ছে। কারণ, ওই সময় সাকিব ছিলেন বিপিএল দল ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক। এর কিছুদিন পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের মাঝে আগরওয়াল সাকিবকে মেসেজ করেন, ‘আমরা কি এখানেই করব নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?’ এভাবেই ফেঁসে যান সাকিব।