বড়লেখায় ভুয়া কাজির বিরুদ্বে অভিযোগ বাল্য বিবাহ করাচ্ছেন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৩:৫৮,অপরাহ্ন ০৩ মে ২০২১ | সংবাদটি ২৯৯ বার পঠিত
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিয়েসহ সবধরণের অবৈধ বিয়ের উস্তাদ ভুয়া কাজী নাজমুল ইসলাম। দুই নম্বরী বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রীকারক হিসেবে উপজেলা জুড়ে যার সুপরিচিতি। তার এসব অপকর্মের হোতা পৌরশহরের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মাদ্রাসা শিক্ষক কাজী এনামুল হক। তিনি বড়লেখা মোহাম্মদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ইবতেদায়ী প্রধান। তিনি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হওয়া স্বত্ত্বেও পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার (কাজী)। অভিযোগ রয়েছে একাধিক মোহরীর নিযুক্ত করে তিনি নিজ এলাকার বাহিরেও বাল্যবিয়ে পড়িয়ে থাকেন। কাজী এনামুল হক ও ভুয়া কাজী নাজমুল হকের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে প্রায় ৩ মাস পূর্বে জেলা রেজিষ্ট্রারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
করোনার কারনে তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে ফলে কাজী এনামুল হক ও ভুয়া কাজী নাজমুল সিন্ডিকেট বাল্যবিয়ে ও অবৈধ বিয়ে পড়াতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেকে ভুয়া কাজী নাজমুলের রেজিষ্ট্রীকৃত কাবিন সংগ্রহ করতে স্থানীয় বৈধ কাজীর অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। তখন তারা মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হন। তাদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জেলা রেজিষ্ট্রারে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বড়লেখা মোহাম্মদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ইবতেদায়ী প্রধান এনামুল হক একাধারে পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার। গেজেটের ২০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে কোন নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার নিয়োজিত এলাকার বাহিরে সরকারী-বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারবেন না। তার বাড়ি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের অজমির এলাকায়, কর্মস্থল মাদ্রাসার অবস্থান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ।
দক্ষিণভাগের ভুয়া কাজী নাজমুল ইসলাম আলভিন রেস্টুরেন্টে দক্ষিণভাগের কলাজুরা গ্রামের স্কুল পড়–য়া ষোড়ষীর বাল্য বিয়ে পড়ানুর ও ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে ভাঙ্গার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি বড়লেখা পৌরসভার কাজী এনামুল হকের মাধ্যমে বিয়ে রেজিষ্ট্রী করান। বিয়ে পড়ানোর সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।
কাজী এনামুল হক জানান, তিনি কোন মোহরী নিয়োগ দেননি। দক্ষিণভাগে তার কোন সহকারী নেই। কেউ তার নাম বললেই কি জড়িত হয়ে গেলাম। তিনি এসব কিছুই জানেন না। অন্যান্য অভিযোগ তিনি অফিসকে ম্যানেজ করে করছেন।
জেলা রেজিষ্ট্রার জেড.এম ইমরান আলী জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হয়েছে কি না মনে পড়ছে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে ঠিকমতো অফিস করা যাচ্ছে না। তবে তিনি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নিবেন।