সংশ্লিষ্টরা বলছেন পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন শেষ করে সেগুলো জমা দিচ্ছেন পরীক্ষকরা।
কেন্দ্রে বিশৃংখলার কারণে দুইবার লিখিত পরীক্ষা নেয় বার কাউন্সিল। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯টি কেন্দ্রে। আজিমপুর গভমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, শেখ বোরহান উুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়াদ্দি কলেজ, মোহাম্মাপুর মহিলা কলেজ. মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, গভমেন্ট মোহাম্মাদপু মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে বাতিল ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
৯টি কেন্দ্রে মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন এবং করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
বার কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার আইন শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ২০১৭ খিষ্ট্রাব্দে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। পরে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়।