আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, টিকা নেয়ার বয়সসীমা কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ করার জন্য জানিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আলোচনা করে ঠিক করবো কীভাবে এটা করা যাবে। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো। তবে এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই হবে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, টিকাদান পদ্ধতি সহজ করার চিন্তা করছে সরকার। গ্রাম এলাকায় যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তারা এনআইডি কার্ড দেখিয়ে বা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করে টিকা নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে ভাবছে সরকার।
গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স ৩৫ বছর করা হয়। দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। এরপর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরো কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।