সিলেটের গর্ব ডা. তোফাজ্জল করিম এর মৃত্যু দেশবাসীর অপুরণীয় ক্ষতি !
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২০:৩১,অপরাহ্ন ৩১ জুলাই ২০২১ | সংবাদটি ৭০২ বার পঠিত
ঊষারবানী সম্পাদনা ডেস্ক : না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের বার বরা নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার তোফাজ্জল করিম। গত ২৭ জুলাই তিনি ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি—রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃতু কালে তিনি তিন মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম ডাক্তার তোফাজ্জল করিম বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বেরকুড়ি গ্রামের এক সম্ব্র্ন্ত ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে ১৯৩৯ সালের ১লা এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এ এইচ মোফাজ্জল করিমের বড় ভাই। তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব প্রিয় এবং ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তার স্ত্রী যশস্বী চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার নূরজাহান খানম এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি দেশ স্বাধীনের আগে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগদান করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আনুগত্যের কারণে তিনি কোর্ট-মার্শালের স্বীকার হয়েছিলেন এবং রাওয়ালপিন্ডিতে অন্তরীণ ছিলেন। পরবর্তীতে সাহসিকতার সাথে আফগানিস্তানে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রচেষ্টায় যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানির প্রধান মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় উপশম নাসিং হোম নামে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়, তিনি ক্লিনিকে বিনা মূল্যে অনেক আহত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কর্মীদের চিকিৎসা করে ছিলেন।
মরহুম ডা.তোফাজ্জল করিম তাঁর চার মেয়ের মধ্যে তিনজনকে রেখে গেছেন। তার বড় মেয়ে অধ্যাপক ডা.জেসমিনজাহান ইসলাম ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যঅধ্যাপক আতিকুল ইসলামকে বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় মেয়ে নাসরিন জাহান আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার পার্থের স্কুল শিক্ষক।তৃতীয় মেয়ে তানজিন জাহান আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সিনিয়র মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে কাজ করেন।
মরহুম ডক্টর করিম একজন অত্যন্ত উদার মানুষ ছিলেন,কাজের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং নিষ্ঠা এবং সম্প্রদায়ের উন্নতির চেষ্ঠা জাতী সর্বদা স্মরণ করবে এবং যারা তাঁকে চেনে সকলেই তাঁর অভাব অনুভব করবে।পুরো বাংলাদেশ বিশেষ করে সিলেট বাসীর গর্বের ধন ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় মানুষ যিনি সহজ জীবন যাপনে বিশ্বাস করতেন এবং তাঁর মৃত্যু দেশ বাসীর জন্য অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে সর্বস্তরের মানুষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক প্রকাশ : ডাক্তার তোফাজ্জল করিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোক বিবৃতি প্রদান করেছেন এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, প্রধান মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবুজাফর রাজু, সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খাঁন ও আব্দুল মতিন, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ ফজলুল হক খান সাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, কুলাউড়া পৌরসভা সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ, ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, হাওর বাাঁচাও কৃষক বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন ও সম্পাদক আফতাব উদ্দিন আহমদ, হাওর বাাঁচাও কৃষক বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ জুড়ী উপজেলা সভাপতি ইমরুল আহমদ, সিলেট এমএমজি ওসমানি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. সাঈদ আনাম ওয়ালিদ, কুলাউড়া বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ ফজলুল হক ফজলু ও সম্পাদক কুলাউড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সজল, উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নান, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারঃ) আতাউর রহমান, কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদির, সম্পাদক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন, সাবেক সভাপতি অব: প্রধান শিক্ষক মো. খুরশীদ উল্লাহ, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন সৈয়দ এ.কেএম.নজরুল ইসলাম, পৃথ্বিম পাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ,রাউৎগাাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল প্রমুখ।