আফগানিস্তানে একদিনে ৩০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করতো যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৯:২৯,অপরাহ্ন ১৮ আগস্ট ২০২১ | সংবাদটি ৩৪৮ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের তালেবানের দখলে গেলো আফগানিস্তান। দেশটির রাজধানী কাবুলের সড়কে সড়কে চলছে সংগঠনটির সদস্যদের মহড়া। আফগান সেনাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ট্যাংক-সাঁজোয়া যানগুলো নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আফগান সেনারা পেয়েছিলো। এখন তা তালেবানের হাতে। শুধু যুদ্ধাস্ত্রই নয়, গত ২০ বছরে দেশটিতে নানামুখী খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস বলছে, আফগানিস্তানে তালেবান হটাতে মার্কিন খরচ ছাড়িয়ে গেছে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, বিল গেটসসহ বিশ্বের শীর্ষ ৩০ ধনকুবের মোট সম্পত্তির পরিমাণকেও।
২০০১ সাল থেকে খরচের হিসাবটা শুরু। ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। এরপর থেকেই আফগানিস্তানে খরচা চালিয়ে গেছে মার্কিন সরকার। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে খরচের অঙ্কটা এতই বিশাল যে মাথাপিছু হিসাবে প্রত্যেক আফগান নাগরিকের পেছনে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার ডলার। আফগানিস্তানে প্রায় ৪ কোটি মানুষ বসবাস করে। একই হিসাবে আফগানিস্তানে মার্কিনদের প্রতিদিন খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ডলারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের বিশেষ ‘কস্ট অব ওয়ার’ প্রকল্পের অধীন এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোট খরচের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি ডলার (৮৪ লাখ কোটি টাকা) সরাসরি যুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খরচ করে। অপরদিকে যুদ্ধের ফলে ঋণের সুদ বাবদ ৫৩ হাজার কোটি ডলার (৪ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ হয়।
আফগানিস্তানের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণে ও অস্ত্র সজ্জিত করায় ২০০২ সালের মে থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০৮ কোটি ডলার (৭ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ করা হয়। যা বাংলাদেশের চলতি বছরের বাজেটের চেয়েও বেশি।
আফগান সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীতে মোট ৩ লাখ সদস্য কর্মরত ছিল। এই খরচ মেটাতে হিমশিম খায় দেশটি। দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র।