আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন এক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। যার আওতায় করোনা টিকা করবেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স ব্যাবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে অ্যান্টিভাইরাল পিল মলনুপিরাভিরের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, বড়দের ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে এই টিকা দুইটি ব্যবহার করা যাবে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরকে আক্রান্তের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখে খাওয়ার ওষুধ হবে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যার আবিষ্কারে কাজ করছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সেই দৌড়ে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সাধারণত করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যে মলনুপিরাভির ওষুধ গ্রহণ করতে হয়।
এই ওধুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কমাতে পারে ওষুধটি।
মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ জানায়, মার্কের এই বড়ি ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ সেবন করতে পারবে না।