তিনি জানান, বইমেলায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সত্যিই আনন্দের। আমি বাংলা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রভেদ করতে পারি না। দুই বাংলার সম্পর্কের সীমানা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া যায় না। দুই বাংলার সম্পর্ক চিরমধুর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের মতো এপার বাংলায়ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। এমনকি জয় হিন্দ ও ভান্দে মাতারামের পাশাপাশি আমরাও জয় বাংলা শ্লোগান দেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, দুই বাংলা হাজার বছরের ঐতিহ্য, এক অভিন্ন বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। দুই বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি একই সুতোয় গাঁথা ও এই মেলবন্ধনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিনিময়। আর এর অন্যতম উপকরণ হচ্ছে পারস্পরিক বইমেলায় অংশগ্রহণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।