বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তার স্থলে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মনোনীত হয়েছেন নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ডা. শফিকুর রহমান গ্রেফতার হওয়ায় তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এজন্য তার বিকল্প হিসেবে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান আইনজীবীদের মাধ্যমে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষণা করেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

এর আগে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ দাবি করে, শফিকুর রহমান তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জড়িত হওয়ার বিষয়টি জানতেন। এ ছাড়া তিনি ছেলেকে জঙ্গি কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি পুলিশের। এজন্য ছেলের বিরুদ্ধে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ডা. শফিকুরকে তারা গ্রেফতার করেছে।

গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ছেলে নতুন জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়েছেন এটা জেনেও সমর্থন দিয়ে গেছেন জামায়াত আমির। একপর্যায়ে তার ছেলে ওই জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক হন। ওই সংগঠনে জড়ানো অনেকেই আগে শিবিরের সাথী ও কর্মী ছিলেন। তাদের হিজরতের খরচও দিয়েছেন জামায়াত আমির। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির একটি দল।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ৯ নভেম্বর জামায়াত আমিরের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। তারও আগে সিলেট থেকে হিজরত করা তিন জঙ্গি সদস্যকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই শিবিরের সাথী ছিলেন। সহযোগী আরিফও শিবিরের সাথী ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন জামায়াত আমিরের ছেলে ডা. রাফাত। পরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াত পেয়ে দলবলসহ তাতে যুক্ত হন তিনি।’