শিরোনাম

বাদ পড়ার শঙ্কা কাটিয়ে নকআউটে ম্যানচেস্টার সিটি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

ম্যানচেস্টার সিটি যখন ইতিহাদে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ করে মাঠ ছাড়ছিল, তখন হয়তো তাদের সবচেয়ে বড় ভক্তরাও আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কারণ, ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পেপ গার্দিওলার দলকে অবিশ্বাস্য কিছু করতেই হতো, কারণ শুধু ড্র করলেই চলত না, পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না।

শেষ পর্যন্ত সেই কঠিন সমীকরণ মিলিয়েই মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া দলটি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ৩-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। এই জয়ের ফলে সিটি ২২তম স্থানে থেকে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তবে সামনে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে প্রতিপক্ষ হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে, ম্যাচ হারলেও ক্লাব ব্রুগাও শেষ ২৪তম দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে।

ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যানচেস্টার সিটি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। তারা বলের দখল ধরে রেখে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করে। তবে ব্রুগা যেন সিটির কৌশল সম্পর্কে ভালোভাবেই প্রস্তুত হয়ে এসেছিল। তাদের রক্ষণ ছিল সুশৃঙ্খল, এবং মাঠের ফাঁকা জায়গাগুলো দখল করে সিটির আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

প্রথমার্ধে সিটি কয়েকবার আক্রমণে গেলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়। ১৬ মিনিটে গুন্দোয়ান একটি গোল করেছিলেন, কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। অন্যদিকে, ব্রুগা পুরোপুরি প্রতি-আক্রমণের কৌশল নিয়ে খেলে, লং পাস ও উইং ব্যবহার করে আক্রমণ গড়ে তোলে। প্রথমে ব্যর্থ হলেও, ৪৫ মিনিটে রাফায়েল ওনেইদিকার গোলে তারা এগিয়ে যায়।

বিরতির পর গার্দিওলা খেলার ধরনে পরিবর্তন আনেন। গুন্দোয়ানের পরিবর্তে সাভিনিওকে নামানো হয়, এবং দল আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৫৩ মিনিটে মাতেও কোভাচিচ দুর্দান্ত এক গোল করে সমতা ফেরান। তবে এরপর ব্রুগাও ভয়ংকর আক্রমণ শানায়, কিন্তু গোলরক্ষক এডারসনের দারুণ সেভে সিটি রক্ষা পায়।

সিটির জন্য জয় ছিল বাধ্যতামূলক, তাই তারা আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৬২ মিনিটে ব্রুগার ডিফেন্ডারদের ভুলে আত্মঘাতী গোল হয়, যা সিটিকে এগিয়ে দেয়। এরপর ৭৩ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেলেও ব্রুগার রক্ষণ টানা দুইবার তা ব্যর্থ করে দেয়। তবে ৭৭ মিনিটে বদলি নামা সাভিনিও গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন।

এই জয়ের ফলে, ম্যানচেস্টার সিটি অবিশ্বাস্যভাবে প্রত্যাবর্তন করে নকআউট পর্বের পথে এগিয়ে গেছে। বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা দলটি দারুণ লড়াই করে প্রমাণ করেছে কেন তারা ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা দল।