আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন। দুই দিন পর, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোটারদের ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ স্ক্যান করার প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ আজ শেষ হচ্ছে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নতুন ভোটারকে তালিকাভুক্ত করা।
এছাড়া, ২০২২ সালে শুরু হওয়া তিন বছরের হালনাগাদ কার্যক্রমের শেষ ধাপও চলমান রয়েছে। এতে প্রায় ১৮ লাখ নতুন ভোটার আগামী মার্চ মাসে তালিকায় যুক্ত হতে পারেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও ১৯ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করার পর ছয়বার এ তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে—২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০ এবং ২০২২-২০২৩ সালে।
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন ইত্যাদি)
4. এসএসসি/দাখিল বা সমমানের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি রশিদের কপি
নির্বাচন কমিশন সতর্ক করেছে যে, দ্বৈতভাবে ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের মাধ্যমে সহজেই এটি শনাক্ত করা সম্ভব।