শিরোনাম

যা খুশি তাই করো: ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৩ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও চাপের মুখে তেহরান কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তোমরা যা খুশি তাই করো।’ মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেজেশকিয়ান পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের জন্য এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় যে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দেবে এবং আমাদের ওপর শর্ত আরোপ করবে। আমি এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসবো না। যা খুশি তাই করো।’

এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দেন যে হুমকি দিয়ে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনা সম্ভব নয়। তার এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি ইরানের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

যদিও ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখতে চান, তবে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট হলে আগের মতো ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল চালু করবেন। এই কৌশলের মাধ্যমে তেহরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে দুটি পথ খোলা রয়েছে: হয় সামরিক ব্যবস্থা, নয়তো একটি চুক্তি, যা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন রোধ করবে।’

তবে তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা করছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করেছে যে ইরান দ্রুততার সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে, যা অস্ত্র-মানের ইউরেনিয়ামের (প্রায় ৯০ শতাংশ) কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে। এর এক বছর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৫ সালের বহুপাক্ষিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন, যা দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।