ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি শক্তিশালী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা মূলত পূর্বসূরি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার কৌশলগুলির প্রতি ইঙ্গিত করে। তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে, তবে রাশিয়াও পশ্চিমা ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে।
এই হুঁশিয়ারি সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে এক ভাষণে প্রদান করা হয়েছে, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট তৈরি করার একটি ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র যদি জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তবে রাশিয়া তার মধ্যবর্তী ও স্বল্প-পাল্লার পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন পুনরায় শুরু করবে। পুতিন বলেছেন, তারা এককভাবে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে না।
এতে করে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের ১০ জুলাই ঘোষিত পরিকল্পনা সম্পর্কে পুতিনের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়, যা জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে।
২০২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে জার্মানিতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছে ন্যাটো। স্নায়ুযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মোতায়েন হতে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এসএম-৬, এবং বিভিন্ন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলোর পাল্লা বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেক বেশি দীর্ঘ, যা এই পদক্ষেপের কৌশলগত প্রভাবকে আরও গুরুত্ববহ করে তোলে।