রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে হাজারো বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিলেন এবং আরও মিছিল আসছিল। তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান প্রদান করছিলেন।
শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। থানার সামনে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ থানার দিকে কাউকে না যেতে অনুরোধ করছে। পাশাপাশি, মিছিল অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর, পুরান ঢাকার দিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে তাঁরা শাহবাগে পৌঁছান।
সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। পুরান ঢাকা থেকে আসা মিছিলের ধাওয়ায় তাঁরা হাসপাতালের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
তখন বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গণে থাকা প্রায় ২০টি গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স এবং ১৫টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে, যখন বিক্ষোভকারীরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এর পর তারা আবার ভাঙচুর শুরু করেন।
সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে তারা এক দফা দাবিতে স্লোগান দেন এবং বলেন, “আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকায় সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি আজ থেকে শুরু হয়েছে। সকালে শাহবাগ এলাকা দিয়ে দু-তিনজন করে বিক্ষোভকারী চলাচল করার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের মারধর করেন। পরে বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হয়ে আসেন। বেলা ১২টার দিকে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আর দেখা যায়নি।