আইপিএলকে বলা হয় ভারতের কোটিপতি লিগ। এই প্রতিযোগিতার নিলাম পর্ব থেকে শুরু করে পুরো টুর্নামেন্টে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা পৃথিবীর কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দেখা যায় না। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ২০২৪ আইপিএল-এর সমাপনীতে কলকাতা নাইট রাইডার্স সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা কোটি কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার পাবে। খেলা শেষে ক্রিকেট ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আইপিএল থেকে চ্যাম্পিয়ন দল কত টাকা পায়?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এবারের আইপিএলে অর্থ পুরস্কার বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স পেয়েছে ২০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। রানার্সআপ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পেয়েছে ১২.৫ কোটি রুপি। এলিমিনেটর থেকে বিদায় নেওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পেয়েছে ৬.৫ কোটি রুপি, আর তাদের হারিয়ে এলিমিনেটর বাধা পেরোনো রাজস্থান রয়্যালস পেয়েছে ৭ কোটি রুপি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া রাজস্থান রয়্যালস পেয়েছে ৩.৬ কোটি রুপি।
এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ ৭৪১ রান সংগ্রহ করা বিরাট কোহলি পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা)। তিনি ৬১.৭৫ গড়ে ও ১৫৪.৬৯ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। এক সেঞ্চুরি এবং পাঁচ ফিফটি করেছেন। জয়পুরের সাওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বেঙ্গালুরুর প্রথম ৮ ম্যাচে একটিমাত্র জয় থাকলেও, পরবর্তীতে টানা ছয় ম্যাচ জিতে তারা প্লে-অফে জায়গা করে নেয়।
এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট নিয়েছেন হার্শাল প্যাটেল। পাঞ্জাব কিংসের এই বোলার পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৯.৭৩। পাঞ্জাব কিংস পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সুনীল নারাইন, যিনি ৪৮৮ রান করেছেন ও ১৭ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৩৪.৮৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮০.৭৪, আর ইকোনমি ছিল ৬.৬৯।
২০২৪ আইপিএলে মোট ১২৬০টি ছক্কা ও ২১৭৪টি চার হয়েছে। সর্বোচ্চ চার ও ছক্কার রেকর্ড দুটি হায়দরাবাদের দখলে। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৬৪টি চার মেরেছেন ট্রাভিস হেড, আর সবচেয়ে বেশি ৪২টি ছক্কা মেরেছেন অভিষেক শর্মা। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে সেরা পিচ ও মাঠের পুরস্কার।