কোটা আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে তদন্ত করা হবে এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ হোসেন। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, ইন্টারনেট ব্যবহার এখন ডিজিটাল অধিকারের অংশ এবং এটি মানবাধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ বজায় থাকে।
তিনি আরও বলেন, কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা উচিত নয়। তরুণ-অনুকূল আইসিটি খাত গঠনে কাজ করা হবে এবং কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর, ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। পরে ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নেন, তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই সমন্বয়কও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তার পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। নতুন সরকারের মধ্যে মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।