শ্রীলঙ্কার নবম প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েক, যিনি একজন মার্ক্সবাদী হিসেবে পরিচিত। ঘোষিত ফলাফলের ভিত্তিতে, ২২টি নির্বাচনী জেলার মধ্যে ৭টি থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, তিনি ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে যথাক্রমে ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং পিছিয়ে আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে রোববার এই তথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার ২২টি জেলায় ১৩ হাজার ৪০০টি ভোটকেন্দ্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারের পতনের পর এটি ছিল শ্রীলঙ্কার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। আনুষ্ঠানিক ফলাফল রোববার ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি ৭০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২০১৯ সালের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ভোট শেষে শনিবার রাতে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জননিরাপত্তার স্বার্থে আট ঘণ্টার জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। কোনো প্রার্থী যদি অন্তত ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পান, তবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। যদি কেউ ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট (রান-অফ) অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রীলঙ্কার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী ছিলেন। তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন তিনজন। এগিয়ে আছেন অনুরা কুমারা দিসানায়েক। তারপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার পুত্র।