টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ৩ উইকেট হারায়, কিন্তু ১৫৯ রানেই থামতে সক্ষম হয়। এর ফলে, ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়িয়ে গেল। পরে সুপার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ১৮ রান স্কোর করলো। জবাবে পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান স্কোর করতে সম্মতি দিল। বৃহস্পতিবার, ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। তাদের চাপে রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা। বলার মতো রান করতে পারেন কেবল পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ও মিডল অর্ডার ব্যাটার শাদাব খান।
দ্বিতীয় ইনিংসেই পাকিস্তান ধাক্কা খেলে। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান একজন ব্যক্তিগত ৯ রানে ফেরে গেলেন। পরবর্তী ওভারে উসমান খান ৩ রানে ফেরে গেলেন। আর পঞ্চম ওভারে ফখর জামান ১১ রানে সাজঘরে ফেরে গেলেন। পরে, ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শাদাব ও বাবর মিলে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেন। বাবর মাটি কামড়ে থাকেন একপ্রান্তে, আর শাদাব কিছুটা হাত খুলে খেলেন অন্যপ্রান্তে। এই দুজন একসাথে যোগ করে মিলে হয়েছে ৭২ রান।
শাদাব ২৫ বলে ৪০ রান করে ফেরেছিলেন। এরপর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই আউট হন আজম খান। একের পর এক উইকেট পতনের চাপে বাবর হাত খুলতে পারেননি। দলকে ১২৬ রানে রেখে জসদীপ সিংযের বলে এলডব্লিউ হয়েছেন। তিনি ৪৩ বলে ৪৪ রান খেলেন। শেষদিকে ইফতিখার আহমেদ ১৪ বলে ১৮ রান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ১৬ বলে অপরাজিত ২৩ রানের সুবাদে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান স্কোর করতে সম্মতি দিলেন।
জবাবে খেলতে নেমে দারুন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। শেষদিকে, ৪২ বলে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫৬ রান, এবং হাতে তখনও ৯ উইকেট ছিল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখনও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ছিল। তবে, শেষ ১২ বলের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। তখন ১৯তম ওভারে, মোহাম্মদ আমিরের আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ৬ রান স্কোর করে জয়ের পথে অধিক কঠিন করে ফেলে।
তবে, ২০তম ওভারে বল করতে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন হারিস রউফ। শেষ ওভারে, প্রথম তিন বলে ৩ রান দেওয়া রউফকে পরে চার-ছক্কা হাকিয়ে স্কোরে সমতা টেনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
পরে সুপার ওভারে, অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ আমিরের হাতে বল তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে সিদ্ধান্তটি বুমেরাং হয় পাকিস্তানের জন্য। প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করা আমির ওই ওভারে দেন ১৮ রান। এরপর জবাব দিতে নেমে তারা ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইফতিখার আহমেদ ও ফখর জামানকে। তবে সুপার ওভারে, পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ১৩ রান স্কোর করে।