বাজারে দুটি রঙের মুরগির ডিম পাওয়া যায়। ডিমের রং মুরগির জাত ও জিনের ওপর নির্ভর করে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত সাদা পালকের মুরগির ডিম সাদা এবং গাঢ় রঙের পালকের মুরগির ডিম লাল হয়। তবে কিছু সাদা পালকের মুরগি লাল ডিম পাড়ে।
প্রথমে সব ডিমের খোলস সাদা থাকে। ডিম তৈরির শেষ পর্যায়ে মুরগির দেহের একটি রঞ্জক পদার্থ থেকে খোলসে রং যোগ হয়। সাদা ডিমের ক্ষেত্রে এই রঞ্জক পদার্থ যোগ হয় না।
কোন রঙের ডিম বেশি পুষ্টিকর? বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ডিমের রঙের সঙ্গে এর পুষ্টিগুণের কোনো সম্পর্ক নেই। নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকের মতে, লাল ডিমে সামান্য পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, তবে সেই পার্থক্য এতই সামান্য যে তাতে খুব একটা ফারাক হয় না।
সুতরাং, দুই রঙের ডিমের পুষ্টিগুণ প্রায় একই রকম। ডিম যে রঙেরই হোক না কেন, আপনি তা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। সাদা এবং লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় সমান। তবে বাজারে ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ ডিম, অর্গানিক ডিম, জৈব এবং নন-জিএমও ফিড খাওয়ানো মুরগির ডিম এবং খোলামেলা জায়গায় পালন করা দেশি মুরগির ডিমের চাহিদা বেশ বেশি।
এক্ষেত্রে মুরগির ডিমের রং নয় বরং মুরগি কী ধরনের খাবার খায় এবং কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে ওঠে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেসব মুরগি প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খায়, তাদের ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ উপাদান এবং ফ্যাট বেশি থাকে। অন্যদিকে খামারের মুরগির ডিমে এই ভিটামিন ও খনিজ কিছুটা কম হলেও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে।
আবার, খামারে ভালো ফিড খাওয়ানো মুরগির ডিমের পুষ্টি অনেক সময় এসব গৃহস্থালি মুরগির ডিমের চাইতেও বেশি হয়, কারণ তাদের নিয়মিত ভালো মানের ফিড দেওয়া হয়।