“আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা সাক্ষাৎ করেন।”
এই বৈঠকে তারা জলবায়ু সংকটের সমাধান ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে তুরস্ক ও আমিরাতের প্রেসিডেন্টসহ ২০ জন বিশ্বনেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আরও বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার ভূমিকার প্রশংসা করে তাকে অভিনন্দন জানান।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অধ্যাপক ইউনূসকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অধ্যাপক ইউনূসও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণের কারণে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূস আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
“সাইডলাইনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাষ্ট্রপতি ডেনিস বেচিরোভিচ।”
এছাড়া তিনি বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সাথেও বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে কপ-২৯ সম্মেলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে চার দিনের সরকারি সফরে বাকুতে রয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে বাকু পৌঁছান।
কপ-২৯ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে বক্তব্য দেবেন। এই সম্মেলনটি ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষ নেতারা বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের জন্য একত্রিত হয়েছেন। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য আরও অর্থসহায়তা প্রদানের উপায় খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য।