শিরোনাম

বৈঠক করতে দিল্লি থেকে আসছেন ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

২০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস

ভারতের দিল্লি থেকে ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং সাত দেশের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় রয়েছেন। দিল্লি থেকে ২০ জনসহ মোট ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে আমার সঙ্গে বৈঠক করতে ঢাকায় আসবেন।

গুম, খুন ও গণহত্যার বিচারের উদ্যোগ

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত ১৫ বছরে সংঘটিত প্রতিটি গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এই অপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনব।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিশনের কাজ

ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, “আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি, যারা অক্টোবর পর্যন্ত ১,৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা ৩,৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন, কিন্তু আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নির্ভয়ে অভিযোগ জানান।”

মানবাধিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

তিনি আরও বলেন, “আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক আমাদের সহযোগিতা করছেন। জাতিসংঘ আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং অতীতের গুমের ঘটনা তদন্তে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।”

গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পুনর্বাসন

ড. ইউনূস বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে এবং আহত শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। শহীদ পরিবারগুলোকে ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন

তিনি জানান, “জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে এবং সরকার এতে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এছাড়াও পুনর্বাসন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

ভাষণের শুরুতে ড. ইউনূস বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ এবং জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, তাদেরও স্মরণ করছি।”

তিনি উল্লেখ করেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট আমাকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। ১০ নভেম্বর নতুন তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেওয়ার পর এখন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৪।”