আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা একটি হত্যা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করীম মল্লিক জানান, রাত ১১টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। পরদিন তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কামরুল ইসলাম ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানি করে সরকারের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। রাজধানীতে তার নামে বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, এবং দুটি বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি রয়েছে। এছাড়া স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগও রয়েছে।
আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতের কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগেও তার নাম উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন কামরুল ইসলাম।
বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।