ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। গত আগস্টে ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার কুরস্কে সাহসী এক অভিযান চালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে। এতে তারা কিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়।
এরপর মস্কো দ্রুত সেখানে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়ে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ান বাহিনী পাল্টা আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগস্টে কুরস্কে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় ১,৩৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে। তবে বর্তমানে এই এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০০ বর্গকিলোমিটারে।
ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ান বাহিনী কুরস্কে তাদের রণকৌশল বদলে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেছে। একের পর এক গ্রাম পুনর্দখল করছে মস্কোর সেনারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি জানান, রাশিয়ার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। নতুন ধরনের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে নিক্ষেপ করার একদিন পরই এই ঘোষণা দেন তিনি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ নতুন ধরনের ঝুঁকির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ সীমিত, তাই প্রতিদিন পরীক্ষা চালানো তাদের জন্য কঠিন।
মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসীমা ৩,০০০ থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার, যা রাশিয়া থেকে ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
পুতিন আরও উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধকে বৈশ্বিক রূপ দিচ্ছে। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে।
নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপনায় নিক্ষেপ করার ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মিসাইল ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এসেছে বলে পুতিন মন্তব্য করেছেন।