সুরক্ষিত তেল আবিবে হিজবুল্লাহর ২৫০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি : সংগৃহীত

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভেতরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ ইসরাইলের আশদোদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন এবং বিমান হামলা পরিচালনা করেছে।

পরে আরও এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ দাবি করে, তেল আবিবের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এএফপিকে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে টাইমস অব ইসরাইল এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরাইলি গুরুতর আহত হয়েছেন। পেটাহ টিকভাতে রকেট আঘাত হানার ফলে বেশ কিছু গাড়ি পুড়ে যায়। হাইফায় আবাসিক ভবন এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর মা’লোত-তারশিহার একটি কারখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।

হামলার আগে তেল আবিব শহরতলিসহ ইসরাইলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার সতর্ক সাইরেন বেজে ওঠে বলে জানা গেছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মতে, লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ প্রায় ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, যার মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়। তারা আরও জানায়, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহ প্রায় ৩৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

মেডিকেল সূত্র জানায়, এই হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলের সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রায় প্রতিদিন হামলা চালিয়ে আসছে। হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর হিজবুল্লাহর আক্রমণের আশঙ্কায় ইসরাইল লেবানন সীমান্তের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়। তবে এই বাস্তুচ্যুত মানুষদের ঘরে ফেরাতে এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার।