তাইওয়ান জানিয়েছে, তারা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশে একটি চীনা বেলুন শনাক্ত করেছে। এটি এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা। এদিকে, চীন ক্রমাগতভাবে তাইওয়ানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে, যাতে দ্বীপটি তার সার্বভৌমত্বের ওপর বেইজিংয়ের দাবি মেনে নেয়।
চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক শক্তি ব্যবহারের বিকল্প ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছে।
তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বেইজিং নিয়মিত যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পাশাপাশি মাঝে মাঝে বেলুনও মোতায়েন করছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, যারা নিয়মিত চীনের সামরিক কার্যক্রমের আপডেট দেয়, জানায় যে রবিবার সন্ধ্যায় কিলুং শহর থেকে ১১১ কিলোমিটার দূরে, ১০,০৫৮ মিটার উচ্চতায় একটি বেলুন শনাক্ত করা হয়। এটি রাত সোয়া ৮টার দিকে দ্বীপটির বিমান প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং এরপর হারিয়ে যায়।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, একই ২৪ ঘণ্টার সময়কালে চীনের ১২টি সামরিক বিমান এবং ৭টি যুদ্ধজাহাজও তাইওয়ানের আশেপাশে শনাক্ত করা হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে, চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে বিভাজক জলসীমা অতিক্রম করে চীনের বেলুনগুলো উড়তে দেখা গেছে। তাইওয়ান এই বেলুনগুলিকে ‘গ্রে জোন’ কৌশলের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা হয়রানি ও চাপে রাখার একটি পদ্ধতি।
চীন আগে বেলুন পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাইপে।
২০২৩ সালের প্রথম দিকে চীনের বেলুনগুলো আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সেই সময়, যুক্তরাষ্ট্র একটি চীনা বেলুন গুলি করে নামায়, যা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, বেলুনটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। চীন এটিকে একটি বেসামরিক বেলুন বলে দাবি করেছিল, যা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিল।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা